সিলেটে ওষুধের দাম বেশি কেন জানতে চাওয়ায় হামলা!
প্রকাশিত হয়েছে : ২:২৬:০৩,অপরাহ্ন ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৪৭৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: সিলেট ওসমানী হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ফার্মেসীতে ওষুধের অতিরিক্ত দাম কেন রাখা হয়েছে জানতে চাওয়ায় রোগির আত্মীয় স্বজনদের উপর হামলা চালিয়েছে ওষুধ বিক্রেতারা। এসময় তাদের ছুরিকাঘাতে শিক্ষকসহ ৬/৭ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ইমার্জেন্সী গেটের বাহিরে ‘রিংকু ফার্মেসী’তে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, কোম্পানীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইমরান আহমদ কারিগরি কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোগি নিয়ে আসামাত্র ‘রিংকি ফার্মেসি’র দালালরা তাদের পিছু নেয়। আহত শিক্ষার্থীকে তাড়াতাড়ি সেবা দিতে যা ওষুধ লাগবে তারা তাদের ফার্মেসী থেকে সরবরাহ করবে। চিকিৎসা শেষে টাকা পরিশোধ করলে হবে বলেও তারা তাদের প্রলোভন দেখায়। শিক্ষার্থীর আত্বীয়স্বজন দালালের কথায় বিশ্বাস করে ‘রিংকি ফার্মেসী’ থেকে বাকিতে ঔষধ আনেন। রাতে ওষুধের টাকা পরিশোধ করতে গেলে ফার্মেসীর ম্যনেজার সুমন আহমদ ৯০০০ হাজার টাকার একটি ভায়োচার ধরিয়ে দেন। তারা বিল পরিশোধ করে হাসপাতালে এসে তাদের পরিচিত কয়েকজনের সাথে এ নিয়ে আলাপ হয়। এসময় কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ নেতা এম সোহেল আহমদ, ইমরান আহমদ কারিগরি কলেজের প্রিন্সিপাল ও কয়েকজন প্রভাষক চিকিৎসকের দেয়া তালিকা নিয়ে পাশ্ববর্তী কয়েকটি ফার্মেসীতে ঔষধের দাম যাচাই-বাছাই করেন। এসময় দেখা যায় চিকিৎসকের তালিকায় দেয়া ওষুধের দাম মাত্র ৪৫০-৪৭০ টাকা। পরে ইমরান আহমদ কারিগরি কলেজের প্রিন্সিপালসহ ৬/৭ জন ‘রিংকু ফার্মেসী’তে গিয়ে সরবরাহকৃত ওষুধের দাম ৪৫০ টাকার পরিবর্তে ৯০০০ টাকা কেন রাখা হলো কেন বলামাত্রই তেড়ে এসে ম্যানেজার সুমন। এসময় রোগির সাথে থাকা আরো কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হন। তাদের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ফার্মেসির মালিক বালাগঞ্জ উপজেলার তাজপুরের বাসিন্ধা সালেহ আহমদ ও নগরীর বাগবাড়ির আলোচিত অস্ত্র ব্যবসায়ী পাখি সোহেলের ভাই ফার্মেসির ম্যানেজার সুমন আহমদসহ দালালরা রামদা ও ছুরি দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় ৬/৭ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহতরা হচ্ছেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বশিরুল (২৬), রুবেল (১৯), কামাল উদ্দিন (৩২), দিলদার হোসেন (২৪), এরশাদ (২২)। ঘটনার পর পুলিশের উপস্থিত হলে ফার্মেসী বন্ধ করে তারা পালিয়ে যায়।
এমন নেক্কারজনক খবর পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমিন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ চৌধুরী।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সেলিম মিঞা, গোয়াইনঘাট কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক, রুস্তমপুর কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল আহমদ শেরগুল, কোম্পানিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ সহ এলাকার বিশিষ্টজনেরা আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তাৎক্ষনিক জানিয়েছেন কতোয়ালী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সেলিম মিঞা।