আবরও সমালোচিত স্বাস্থ্যমন্ত্রী!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫৯:৩১,অপরাহ্ন ২৭ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৬১৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ঈদের আগ মুহুর্তে যখন দেশে ডেঙ্গু জ্বরের আতঙ্ক চলছিলো ঠিক তখনই স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর ঈদের ছুটি বাতিল করে নিজে স্বপরিবারে দেশের বাহিরে বেড়াতে গিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. আব্দুল মালেক। এ সমালোচনার মধ্যেই দেশে ফিরতে বাদ্য হন। আর এবার ডেঙ্গু মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের ‘মশা নিধন’ওষুধ মন্ত্রীর বাসায় মারতে গিয়ে ফের সমালোচিত হয়েছেন তিনি।
জানা গেছে পূর্বে নির্ধারিত শিডিউল মোতাবেক মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর বারিধারায় মশক নিধন ও এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে অভিযানে যায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং মশক নিধনকর্মীরা। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ হাসান। এ সময় ডিএনসিসি টিমের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুল।
অভিযানের শুরুতে পার্ক রোডে তিনটি বাসা পরিদর্শন করেন তারা। এরপর তাদের সামনে পরে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বাসা। সে বাসায়ও ঢুকতে যান ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং কাউন্সিলর তাদের পরিচয় দিলেও প্রবেশে বাধা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা। এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ ও অনুমতির জন্য সময় চান সেই কর্মকর্তা।
প্রায় ১০ মিনিট অপেক্ষার পর ওই কর্মকর্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেন। এরপর সেখান থেকে চলে আসেন মশক নিধনে যাওয়া কর্মকর্তারা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাড়িতে নেই। তার অনুপস্থিতিতে আমি কাউকে প্রবেশ করতে দিতে পারি না। তার অনুমতি পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু সম্ভব হয়নি। তাই প্রবেশ করতে দেওয়া যাচ্ছে না।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসা টার্গেট করে সেখানে যাইনি। পার্ক রোড এবং অ্যাম্বাসি রোডে অভিযান শুরু করি। অভিযান চালানোর সময় অন্য বাসাগুলোর পরই সিরিয়ালে মন্ত্রীর বাসা আমাদের সামনে আসে। আমরা প্রবেশ করতে চাইলেও পারিনি।’