বনানীর এফআর টাওয়ারের মালিক তাসভীর গ্রেফতার!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১০:৩৬,অপরাহ্ন ১৮ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৪৫৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: রাজধানী বনানীর এফআর টাওয়ার দুর্নীতি মামলার আসামি কাসেম ড্রাইসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসভীর উল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নকশা জালিয়াতির মামলায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বনানীর এফআর টাওয়ারের অন্যতম মালিক তিনি।
রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
নকশা জালিয়াতি করে ভবনটিতে কয়েকটিতলা বাড়ানোর অভিযোগে গত ২৫ জুন তাসভীরসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন দুদক কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দিক।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ী তাসভীর উল ইসলাম এফ আর টাওয়ারের ২১, ২২ ও ২৩তম তলা বন্ধক রেখে আর্থিক প্রতিষ্ঠান জিএসপি ফিন্যান্স থেকে ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া রাজউকের ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারকে ১৯তলা থেকে বাড়িয়ে ২৩তলা করেন। এই মামলায় তাসভীর ছাড়াও এফআর টাওয়ারের মালিক এসএমএইচআই ফারুক, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলের নামও রয়েছে।
তাসভীর উল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিরও সভাপতি। ওই টাওয়ারের ২১, ২২ ও ২৩ তম তলার মালিকানা রয়েছে প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের হাতে। এই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাসভীর।
সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভবনটির ভূমিমালিক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ও রূপায়ণ গ্রুপ যৌথভাবে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। তখন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন দেয়। পরে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর ভবনটিকে ২৩ তলা পর্যন্ত বর্ধিত করে নির্মাণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বনানীর ১৭ নং সড়কে অবস্থিত এফআর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডে ২৫ জন নিহত হন। ওই ভবনের বিভিন্ন অফিসে কর্মরত ২৫ নারী-পুরুষের অধিকাংশই নিহত হয়েছেন আগুনে সৃষ্ট ধোয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে। এছাড়া আগুনে দগ্ধ হয়ে এবং জীবন বাঁচাতে লাফিয়ে পড়ে মারা গেছে কয়েকজন। আগুনে এফআর টাওয়ারের ৪টি ফ্লোর পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়েছে।