‘পিতা তোমায় কথা দিলাম, তোমার রক্তের ঋণ আমরা শোধ করব’
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৩৩:২৪,অপরাহ্ন ১৬ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ১১৯০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ও বঙ্গবন্ধুর উক্তি ‘রক্ত দিয়ে হলেও এই দেশকে স্বাধীন করব’ ঘোষণার স্মৃতি চারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ঘোষণা দেন, আজকের দিনে পিতা তোমায় কথা দিলাম, তোমার রক্তের ঋণ তোমার সোনার বাংলা নির্মাণ করেই আমরা শোধ করব।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের জিয়াউর রহমান মন্ত্রী বানিয়েছিলেন এমন কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া ও এরশাদ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী। দেশের আদালত থেকে এটা অনেক দিন পর স্বীকৃতি পেয়েছে। তাদের আর রাষ্ট্রপতি বলা যায় না। সংবিধান লঙ্ঘন করে জিয়া ক্ষমতায় দখল করেছিল। ‘৭৫ সালের পর থেকে এদেশে ১৯টা ক্যু হয়েছে’।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা আমাদের বাড়িতে যাতায়াত করত, তারাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে খুন করে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, বাংলা ভাষায় এ দেশের মানুষ কথা বলুক তা চায়নি; তারাই পঁচাত্তর সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পঁচাত্তরের পরে স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় এসে দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, যখন তারা বাবাকে প্রথমে হত্যা করে। আমার মা জানতেন ওরা বাবাকে হত্যা করেছে, তবুও আমার মা তাদের কাছে জীবন ভিক্ষা চাননি। আমার মা ওদের বলেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছ সুতরাং আমাকেও হত্যা করো। এভাবেই সবাইকে হত্যা করার পর সবশেষে হত্যা করা হয় নিষ্পাপ রাসেলকে।
এই হত্যা প্রথমে সবাই ভেবেছিলেন একটি পরিবারের হত্যা কিন্তু না, পরে সবাই বুঝতে পেরেছে একটি রাষ্ট্র চেতনাকে হত্যা করা হয়েছে। ১৫ আগস্টের পর তারা এই দেশকে ইসলামিক রিপাবলিক করেছিল। পরে তারা আর রাখতে পারেননি।
হত্যাকারীরা তার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান আমাদের পরিবারে ঘনঘন আসত এবং আসার সময় খালেদা জিয়াকে সাথে নিয়ে আসতেন যাতে উপরে ওঠে মায়ের সাথে গল্প করতে পারেন। মেজর ডালিম, মোস্তাক আহমেদ ওরা সবসময় আমাদের বাসায় আসত।
বহু বছর পর হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, অবৈধ ক্ষমতা দখল করা জিয়া ও এরশাদের শাসনকালকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে তারা এখন আর রাষ্ট্রপতি নয় বরং তারা অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী।
জিয়ার শাসনকালে দেশকে উন্নত না করে বরং দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র পরিণত করতে চেয়েছিল যাতে সবার কাছে প্রমাণ করতে পারে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়া আমাদের ভুল ছিল। এর পরে আবারও ২০০০ সালে উন্নয়ন থেমে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর এই দেশকে উন্নত করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন আমরা সব দিক দিয়ে পাকিস্তানের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছি। আমরা প্রমাণ করেছি আমরা স্বাধীন হয়ে আমরা এই উন্নত করতে পেরেছি।
বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়ন করতে জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নত করতে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমি সকল কষ্ট ব্যর্থ রেখেও জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।