স্বাধীনতা দিবসকে ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৪৪:৪০,অপরাহ্ন ১৫ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৩২০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসকে এবার ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করছে সরকার। সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা হরণের প্রেক্ষিতে পাক সরকার নিজেদের স্বাধীনতা দিবসকে ব্যতিক্রমভাবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) ইসলামাবাদের কনভেনশন সেন্টারে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি বলেছেন, ‘আমরা বরাবরই কাশ্মীরিদের পাশে ছিলাম এবং থাকব।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাসী আজ দেখছে পাকিস্তান কেমন নিঃস্বার্থতার সঙ্গে কাশ্মীরি ভাইদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা কোনোভাবেই কাশ্মীরিদের একা ছেড়ে যাব না। কেননা তারা আমাদেরই মানুষ। তাদের দুঃখ যন্ত্রণা আমাদেরই দুঃখ-যন্ত্রণা।’
পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে অন্যান্য পাক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার আসাদ কায়সার, সিনেট চেয়ারম্যান সাদিক সানজরানি এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক প্রধান সহকারী ফেরদৌস আশিক আওয়ানসহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কাশ্মীরের বন্দি নেতা মোহাম্মদ ইয়াসিন মালিকের স্ত্রী মাশাল মালিক তার বক্তৃতায় চলমান পরিস্থিতির জন্য ভীষণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি কাশ্মীরি জনগণের স্বাধীনতা আন্দোলনকে নিয়ে স্বরচিত একটি কবিতাও আবৃতি করে শোনান।
সূত্রের বরাতে গণমাধ্যম ‘দ্য ডনে’র প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আজ মুজাফফরাবাদ সফরে যাচ্ছেন। যেখানে তিনি আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের অ্যাসেম্বলিতে বক্তৃতা প্রদান করবেন।
গণমাধ্যমটির দাবি, এবারের স্বাধীনতা দিবসে পাক সরকার একটি বিশেষ লোগো প্রকাশ করেছে। যেখানে লেখা আছে, ‘কাশ্মীর বনেগা পাকিস্তান’ অর্থাৎ ‘কাশ্মীর হবে পাকিস্তানের অংশ’। লোগোর অক্ষরগুলো ছিল লাল, যা ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ বিষয়টির সঙ্গে সম্পূর্ণ সংগতিপূর্ণ।
আগামীকাল ১৫ আগস্ট প্রতিবেশী ভারতের স্বাধীনতা দিবস। এবারের কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান দিবসটিকে একটি কালো দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে। যদিও ভারত সরকার এরই মধ্যে বিষয়টির জন্য নিন্দা জানিয়েছে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছিল ক্ষমতাসীন মোদী সরকার। যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিতর্কিত লাদাখ ও জম্মু ও কাশ্মীর সৃষ্টির প্রস্তাবেও সমর্থন জানানো হয়।
এসবের মধ্যেই চলমান কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত মধ্যকার সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে একে একে ভারত সরকারের সঙ্গে বাণিজ্য, যোগাযোগসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। যদিও এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে পাক সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন; আর ভারত পাশে পেয়েছে রাশিয়াকে।