নাজমুল হুদা দম্পত্তির বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১২:১৯,অপরাহ্ন ০৫ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৪২৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: যমুনা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার মামলায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট সিগমা হুদার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (৫ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় চার্জশিট অনুমোদন দেয়। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০০৮ সালের ১৮ জুন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট সিগমা হুদার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় যমুনা বহুমুখী সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মর্গানেট ওয়ান লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকের কাছ থেকে ২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ১৯টি চেকের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন।
যদিও নাজমুল হুদা দাবি করেছেন, যমুনা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে কিছু বিজ্ঞাপন তার মালিকানাধীন সাপ্তাহিক পত্রিকা খবরের অন্তরালে ছাপা হয়েছে। ওই বিজ্ঞাপনের বিল হিসেবে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ কোম্পানি মর্গানেট ওয়ান লিমিটেড প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা করে বিল হিসেবে পরিশোধ করেছে। এ বিলের মোট ৬ লাখ টাকা খবরের অন্তরালে পত্রিকার একাউন্টে জমা হয়। ওয়ান ইলেভেনের সময় সেনা সমর্থিত সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ওই ৬ লাখ টাকাকে ঘুষ হিসেবে উল্লেখ করে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। আমাকে নাজেহাল করার উদ্দেশ্য নিয়ে ওই সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা জেনারেল আব্দুল মতিনের হস্তেক্ষেপে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। দুর্নীতি অভিযোগ এনে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে হুদা দম্পতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেয়া মামলায় স্থগিতাদেশ বিরুদ্ধে দুদকের আপীলে গত ৬ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানি শেষে এ সংক্রান্ত ওই আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর রিভিউ আবেদনও তাদের আপীল খারিজ হয়ে যায়। রিভিউ আবেদন খারিজের আদেশের কপি অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুদক চেয়ারম্যান ও নিম্ন আদালতে পাঠানো হয়। এরপরই ঘুষ গ্রহণের ওই মামলাটি পুনরায় তদন্ত শুরু করে দুদক।