যে তিন কারণে জামিন পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫৯:৫৯,অপরাহ্ন ০১ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৮৪৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন তিনটি কারণে খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩১ জুলাই) বিকালে হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের বেঞ্চ তা খারিজ করে দেন।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের পক্ষে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন, মাহবুবউদ্দীন খোকন ও জয়নুল আবেদীন। শুনানিতে দুদকের পক্ষে অংশ নেন খুরশীদ আলম খান।
গত ২৮ জুলাই খালেদা জিয়ার আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে একই বেঞ্চ জামিন শুনানির জন্য মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দিন ধার্য করেন। মঙ্গলবার জামিন আবেদনের ওপর প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
তিনটি যুক্তি দেখিয়ে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তিন যুক্তি
এক. এ মামলায় অপরাধের ধরন ‘রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করা’
দুই. আইনের যে ধারায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে সেটি ছিল ‘সর্বোচ্চ সাজা’
তিন. এ মামলার আপিল শুনানির যাবতীয় নথি এরই মধ্যে হাইকোর্টে চলে আসায় তা (আপিলের) শুনানির জন্য প্রস্তুত, তাই এ মুহূর্তে জামিন প্রয়োজন নেই।
গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি অর্থদণ্ড স্থগিত ও সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে ২ মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন। ওইদিন আপিল শুনানি গ্রহণের পর জয়নুল আবেদীন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানি করতে গেলে আদালত বলেছিলেন, আগে নথি আসুক। তখন দেখা যাবে। গত জুনে ওই নথি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে হাইকোর্টে আসে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনে সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিয়ের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।