লন্ডনে ‘গোলাপগঞ্জ উৎসব’ পরিণত হয়েছিল একখণ্ড গোলাপগঞ্জে
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:০৯:৫১,অপরাহ্ন ৩০ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৪৪৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: লন্ডনে অনুষ্ঠিত গোলাপগঞ্জ উৎসব যেন পরিণত হয়েছিল একখণ্ড গোলাপগঞ্জ।
তারুণ্যের উচ্ছ্বাস নিয়ে প্রবাসী গোলাপগঞ্জবাসীদের বাঁধভাঙ্গা জনজোয়ার। ঢাক-ঢোল, হরেক বাদ্যিবাজনা আর রঙ-বেরঙের সাজপোশাক নিয়ে জমে উঠেছিল প্রথম গোলাপগঞ্জ উৎসব।
রোববার (২৮ জুলাই) পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আট সেন্টারে অনুষ্ঠিত উৎসব পরিণত হয়েছিল একটি মিলনমেলায়।
উৎসবে যোগ দিতে ইউরোপ, আমেরিকা, এমন কি বাংলাদেশ থেকেও এসেছিলেন আনন্দপিপাসু গোলাপগঞ্জের মানুষ। দীর্ঘদিন পর পরিচিত বন্ধুবান্ধব একে অপরের সাক্ষাৎ পান উৎসবে। সৃষ্টি হয় এক আবেগ আর আনন্দঘন পরিবেশ। পশ্চিমা ধারায় বেড়ে ওটা প্রজন্মের শেকড়মুখি হওয়ার একটি উপলক্ষ্যও যে এই উৎসব সেটাই লক্ষ্য করা গেছে।
সকাল ১২.৩০ টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা দিয়ে শুরু হয় উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি স্পিকার কাউন্সিলর আহবাব হোসেন ফিতা কেটে গোলাপগঞ্জ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে হলরুমে এসে উদ্বোধনী আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন শরীফ থেকে তেলাওয়াত করেন সরওয়াদী হাসান। সভা পরিচালনা করেন গোলাপগঞ্জ উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল বাছির। এসময় ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত, জেনারেল সেক্রেটারি আনোয়ার শাহজাহান এবং ট্রেজারার বদরুল আলম বাবুল উপস্থিত সবাইকে তাদের বক্তব্যে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান।
দিনব্যাপী গোলাপগঞ্জ উৎসবে বিভিন্ন সময় যারা বক্তব্য রাখেন তারা হলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক ও গবেষক তাজুল মোহাম্মদ, ঢাকাদক্ষিণ সরকারী ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ শফিক উদ্দিন, বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া, গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের উপদেষ্টা তছউর আলী, ড. আব্দুল আজিজ তকি, আব্দুল কাদির হাসনাত এবং আতাউর রহমান আঙ্গুর মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আমান উদ্দিন, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল সাউথ ইষ্ট রিজিওনের সভাপতি মোহাম্মদ ইছবাহ উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কমিশনার মোশারফ হোসেন খোকন, জালালাবাদ ফাউন্ডেশন ইউকের সভাপতি দেওয়ান গৌছ সুলতান, ঢাকাদক্ষিণ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি নুর উদ্দিন শাহনুর, ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক শিক্ষক আলাউদ্দিন আহমদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আমিন রুহেল, আব্দুল হাকিম চৌধুরী এবং মোহাম্মদ জহির হোসেন গৌছ, সোশ্যাল ট্রাস্টের সাবেক আহবায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান ও মাহমুদুর রহমান শানুর, কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট সেলিম আহমদ খান, ঢাকাদক্ষিণ উন্নয়ন সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবজল হোসেন, কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট মোহাম্মদ নাজিমুদ্দিন, মুজিবুল হক মনি, আহমদ হোসেন খান শামীম, আব্দুর রহিম শামীম, জালাল উদ্দিন, আফছর খান ও লুৎফুর রহমান সায়াদ, রুবি হক, গোলাপগঞ্জ হেল্পিং হ্যান্ডস ইউকের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম, ঢাকা রিজেন্সির ডাইরেক্টর মুছলেহ আহমেদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা এডুকেশন ট্রাস্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, গোলাপগঞ্জ হেল্পিং হ্যান্ডসের সাবেক সভাপতি ফেরদৌস আলম, বর্তমান সভাপতি বেলাল হোসেন, সলিসিটর হাসান কে খান, সাবেক আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আজিজ খান, ইউরোপীয়ান প্রবাসী বাংলাদেশি এসোসিয়েশন ইউকের সভাপতি ও ট্রাস্টের বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য শাহরিয়ার আহমদ সুমন, সাংবাদিক আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি জেনিফার সারোয়ার লাক্সমী, কালচারাল সেক্রেটারি রায়হান উদ্দিন, এসিসটেন্ট জেনারেল সেক্রেটারি তারেক রহমান ছানু, এডুকেশন সেক্রেটারি মোঃ নাছির উদ্দিন, প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি শিহাব উদ্দিন, স্পোটস সেক্রেটারি মোঃ মুকিতুর রহমান, ইসি কমিটির সদস্য আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, সৈয়দ নাদির আহমদ, সদস্য রোমান আহমদ চৌধুরী, মুফিজুর রহমান চৌধুরী একলিল, জি এম অপু সাহরিয়া, নাসরিন শাহজাহান, রওশন জাহান, আমরিন রহমান, রোমানা এনাম, মোঃ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পিকার কাউন্সিলার রাজিব আহমদ, স্পিকার ভিক্টোরিয়া ওবারেজের কনসর্ট ফারুক উদ্দিন আহমদ, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাসন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা এডুকেশন ট্রাস্টের সাবেক সভাপতি মকলু মিয়া, গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান সুজা, গোলাপগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাইজ উদ্দিন আহমদ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আফসার হোসেন এনাম, গোলাপগঞ্জ হেল্পিং হ্যান্ডসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাহিন মাহমুদ, গোলাপগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্টের সহ সভাপতি ফখর উদ্দিন আহমদ, কাওছারাবাদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কাওছার আহমদ, সোশ্যাল ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সৈয়দ মুজিবুল ইসলাম আজু, কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট ওমর চৌধুরী, মিকাইল চৌধুরী, বাতিরুল হক সরদার, সোশ্যাল ট্রাস্টের বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য মুহিবুল হক, ইসি মেম্বার সয়ফুল আলম, ইসি মেম্বার দেলোয়ার হোসেন, হেল্পিং হ্যান্ডসের সহ-সভাপতি সোহেল আহমদ বদরুল, সাবেক কোষাধ্যক্ষ সেলিম আহমদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলী হোসেন ও ইসি মেম্বার জহিরুল ইসলাম শামুন, সোশ্যাল ট্রাস্টের সাবেক আহবায়ক কমিটির সদস্য হুমায়ূন চৌধুরী একলিম, বিলাল আহমদ মিলন ও মুহিবুর রহমান মুহিব, জালাল আহমদ রিপন, কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট এম ইকবাল হোসেন, আহবাব মিয়া, সালেহ আহমদ, কাওছার আহমদ, তারেক আহমদ, রুহেলা হোসেন, কয়েছ আহমদ রুহেল, রোকশানা পারভীন জোসনা, শাহ রহমান, দিলু চৌধুরী, শাহিন আহমদ, মোহাম্মদ জুনায়েদ আহমদ, শাহাজান সিরাজ দারা, আশরাফ হোসেন সফি, আব্দুল হালিম চৌধুরী, ফয়জুর রহমান, ছরওয়ার হোসেন মাসুক, সেলিম উদ্দিন আহমদ, সৈয়দ মনিরুল ইসলাম তারেক, রেজওয়ান হোসেন শিপলু, শারব আলী, পীর আব্দুল কাইয়ুম, ঝলক পাল, আব্দুল হেলাল চৌধুরী সেলিম, হারিক কামালী, এ এম রুহেল, আকরাম হোসেন দারা, সুবহান উদ্দিন, কামরুল ইসলাম, কয়েছ আহমদ, নাজমুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ লিকন, তানভীর শাহজাহান, ফারহাত বাছির, মলিকা বাছির, রিফাত বাছির, মোহাম্মদ শাহিন, শেবুল, মল্লিক হোসেন প্রমুখ।
বিকাল ৪ ঘটিকার সময় গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের স্মারকগ্রন্থ ‘প্রজন্মের সেতু’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র কাউন্সিলর জন বিগস।
বিকাল ৫ ঘটিকার সময় গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের কার্যক্রমে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাদের মধ্য থেকে গোল্ডেন, সিলভার এবং ব্রোঞ্জ এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডস এবং ১৩ জনকে এচিভমেন্ট সার্টিফিকেট দেয়া হয়। গোল্ডেন এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডস দেয়া হয় জেনারেল সেক্রেটারি আনোয়ার শাহজাহানকে, সিলভার এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডস মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত এবং ব্রোঞ্জ এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডস দেয়া হয় কালচারাল সেক্রেটারি রায়হান উদ্দিনকে। যাদের এচিভমেন্ট সার্টিফিকেট দেয়া হয় তারা হলেন, রুহুল আমিন রুহেল, রোমান আহমদ চৌধুরী, মোঃ নুরুল ইসলাম, বদরুল আলম বাবুল, মোহাম্মদ জহির হোসেন গৌছ, সালেহ আহমদ, মোঃ মুকিতুর রহমান, আব্দুল বাছির, তারেক রহমান ছানু, মোঃ নাছির উদ্দিন, মোহাম্মদ জাকারিয়া, মোহাম্মদ আব্দুল মতিন এবং মুহিবুল হক।
বিকাল ৫.৩০ ঘটিকার সময় অনুষ্ঠিত হয় গোলাপগঞ্জ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৯ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রয়ডন কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলর হুমায়ূন কবির।
বিকাল ৬.০০ ঘটিকার সময় লেখক ও গীতিকার রুহুল আমিন রুহেল রচিত -পুঁথি ছন্দে গোলাপগঞ্জের ইতিবৃত্ত পড়ে শুনান রুহুল আমিন রুহেল, মাহমুদুর রহমান শানুর, আনোয়ার শাহজাহান, বদরুল আলম বাবুল ও জি এম অপু সাহরিয়া।
এছাড়া অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে অনুষ্ঠিত হয় সংগীত, ধামাইল সহ কবিতা আবৃত্তি। কবিতা আবৃত্তি করেন আব্দুল বাছির।
রাত ৮.৩০ ঘটিকার সময় গোলাপগঞ্জ উৎসব ২০২০ এর লোগো উন্মোচন করা হয়।
সর্বশেষ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে গোলাপগঞ্জ উৎসব ২০১৯ এর সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
গোলাপগঞ্জ উৎসবে তরুণ-তরুণী, মধ্যবয়সী এমকি অনেক বয়স্ক মানুষও সমবেত হয়েছিলেন।
উৎসব প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ধরনের স্টলও বসেছিল।
পুরো অনুষ্ঠানটি ফেইসবুক লাইভ করেন সোশ্যাল ট্রাস্টের সদস্য ইয়াইয়া খান।