সিলেটের ডিআইজি প্রিজনের ৮০ লাখ নিয়ে চমকপ্রদ কাহিনি!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪৩:০০,অপরাহ্ন ২৯ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৮০৩ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ৮০ লাখ টাকা আটকের পর সিলেট কারাগারের ডিআইজি প্রিজন পার্থ গোপাল বণিক এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে সাংবাদিকদের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এতে দেখা যায়, পার্থ গোপাল বারবার দাবি করেছন, তার পুরো টাকাটাই বৈধ। এর একটি অংশ শাশুড়ি দিয়েছেন। বাকিটা তার চাকরির জমানো টাকা। এমনকি যে গাড়িটি ব্যবহার করেন, সেটিও একজন বন্ধুর।
এই টাকা উদ্ধারের কাহিনি অবশ্য চমকপ্রদ। টাকার ব্যাগ ডিজাইজির স্ত্রী ছুঁড়ে ফেলেছিলেন পাশের বাড়ির ছাদে। তবে পার পাননি তারা। গুণে গুণে দুদকের কর্মকর্তারা দেখতে পান সেখানে ৮০ লাখ টাকা।
এরপর জেরার মুখে পড়েন ডিআইজি প্রিজন্স ও তার স্ত্রী। আর বারবার তারা দাবি করতে থাকেন, এটি অবৈধ কোনো টানা নয়। বৈধ টাকা হলে কিসের ভয়ে বাইরে ছুড়ে ফেলেছেন, এই প্রশ্নের অবশ্য জবাব দিতে পারেননি এই দম্পতি।
সাংবাদিক: এই টাকাটা কি পুরোটাই আপনার?
আমার মায়ের আছে ৩০ লাখ, বাকি ৫০ লাখ আমার।
সাংবাদিক: টাকাটা বাইরে ফেলে দিয়েছেন কে?
আমি ফেলিনি, আমার ওয়াইফ ফেলেছে, তাকে জিজ্ঞাসা করুন।
স্ত্রী: আমি ফেলেছি, ভয়ে ফেলেছি, আর কোনো কারণ নেই।
সাংবাদিক: এটা তো বৈধ টাকা, ভয় পাওয়ার তো কোনো কারণ নেই। তো বৈধ টাকা ফেলে দিলেন কেন?
স্ত্রী: আমি তো জানি না।
সাংবাদিক: আপনাকে ফোন করা হলে আপনি বললেন, মিরপুরে আছি। এরপর নানা জায়গার কথা বলেছেন, অথচ আপনি ঘরে আছেন। এই মিথ্যা কেন বললেন?
স্ত্রী: নো কমেন্টস, আমার এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। আমি অসুস্থ। আমি চাইনি বাসায় এগুলো নিয়ে কোনো ঝামেলা হোক।
স্বামীকে সাংবাদিক: চিটাগংয়ে আপনার বিরুদ্ধে একটা দুর্নীতির অভিযোগ আছে।
স্বামী: ওই চিটাগংয়ের এইটাই। এটা আমার সারা জীবনের সঞ্চয়ের টাকা। আমার কোথাও কোনো ব্যাংকে টাকা নেই। আমি ব্যাংকে টাকা রাখি না।
সাংবাদিক: এই্ টাকাটা পুরোটাই বৈধ বলছেন?
স্বামী: পুরোটাই বৈধ। আমার মার (শাশুড়ি) এবং আমার।
সাংবাদিক: আর আপনার গাড়িটা?
স্বামী: ওটা আমার ফ্রেন্ডের গাড়ি।
সাংবাদিক: আপনার তাহলে কিছুই নেই?
স্বামী: আমার আছে এই টাকা।
সাংবাদিক: আপনার ওই ফ্রেন্ডের নাম কি? এই গাড়িটা যার…
স্বামী: রহমতুল্লাহ।
আপনার কি শুধু চাকরি ছিল নাকি অন্য কোনো ব্যবসা ছিল? আপনার এই টাকার উৎস কী?
স্বামী: টাকা তো চাকরি করেই পেয়েছি।
সাংবাদিক: ৫০ লাখ টাকা চাকরি করে পেয়েছেন?
স্বামী: হ্যা, আমার ১৮ বছরের চাকরি। এটা ছাড়া ব্যাংকে আমার এক টাকাও নেই। সঞ্চয়পত্র খোলার জন্য পুরো টাকাটা রাখা হয়েছে।
সাংবাদিক: ১৮ বছরে কোনো খরচ করেননি, শুধু সঞ্চয় করেছেন?
স্বামী: না না, খরচ তো করেছি। এটা আলাদাভাবে সঞ্চয় করেছি।