সিলেটে মুষলধারে বৃষ্টিতে জনজীবন অতিষ্ট!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৪:১৮,অপরাহ্ন ২৮ জুন ২০১৯ | সংবাদটি ২৯৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: সিলেটে গত দুইদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টিতে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। তার উপর শুক্রবার মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় মহা বিপাকে পড়েছেন ধর্মপ্রান মুসল্লি ও সাধারন মানুষ।
এদিকে, টানা বৃষ্টির কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডে। ইতোমধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দুটি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং অন্যান্য নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা সম্পর্কিত বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও কাছাকাছি ভারতের আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের কিছু অংশে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, পুরাতন সুরমা, সোমেশ্বরী, ভুগাই, কংস ও যাদুকাটা নদীর পানি আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪টি পর্যবেক্ষণাধীন পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে ৬৬টিতে পানি বেড়েছে। সুরমা নদীর পানি সিলেটের কানাইঘাট স্টেশনে ১৬ সেন্টিমিটার ও যাদুকাটা নদীর পানি সুনামগঞ্জের মুসলিমপুরে বিপদসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গঙ্গা-পদ্মা ছাড়া দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় গঙ্গা নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পেতে পারে, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে সক্রিয় আছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।