দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্মাননা পেলেন দুই বাংলাদেশি
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:০২:০৮,অপরাহ্ন ১০ জুন ২০১৯ | সংবাদটি ৪৪৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৯৩তম অফিসিয়াল জন্মদিনে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিক। দত্তক গ্রহণকারী হিসেবে অবদান রাখার জন্য টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে কর্মরত কমিউনিটি রিসোর্স অফিসার এমদাদ তালুকদার পেয়েছেন এমবিই (মেম্বার অব দ্য মোস্ট এক্সিলেন্ট অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার) খেতাব। আর বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য ‘সেলফলেস ইউকে’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চিকিৎসক নাঈম আহমদ পেয়েছেন ব্রিটিশ এম্পায়ার মেডাল (বিইম)।
রানীর জন্মদিন ২১ এপ্রিল হলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে তা উদযাপন করা হয় প্রতিবছর ৭ জুন। আর ওই দিনই সম্মাননার জন্য নামের তালিকা প্রকাশ করে ব্রিটিশ সরকার। ছয়টি ক্যাটাগরিতে মোট ১০৭৩ জনকে রানীর জন্মদিনের সম্মাননা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এছাড়া বছরের শুরুতেও বিভিন্ন অঙ্গনে ভূমিকা রাখা ব্রিটিশ নাগরিকদের এক দফা সম্মাননা দেওয়া হয়, যা রানীর নববর্ষের সম্মাননা হিসেবে পরিচিত।
এমদাদ তালুকদার এবার এমবিই খেতাব পেয়েছেন একজন ফস্টার কেয়ারার (দত্তক গ্রহণকারী) হিসেবে অবদান রাখার জন্য। ৬৫ বছর বয়সী এমদাদ যুক্তরাজ্যে আসেন ১৯৮৯ সালে। তিনি টাওয়ার হ্যামলেটসে কাজ করছেন ২০০১ সাল থেকে। এর আগে কিছু দিন সোনালী ব্যাংকে এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন টয়েনবী হলেও কাজ করেছেন।
সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার আগে লন্ডনে মঞ্চ নাটক, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, পত্রপত্রিকায় লেখালেখির কারণেও বাঙালি কমিউনিটিতে পরিচিত ছিলেন এমদাদ ও তার স্ত্রী মাহফুজা তালুকদার। এই দম্পতি আড়াই বছরের একটি শিশুকে দত্তক নিয়েছিলেন, যার বয়স এখন একুশ বছর।
লন্ডনের চেলসি অ্যান্ড ওয়েস্টমিনস্টার এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টে কর্মরত কনসালট্যান্ট রেডিওলজিস্ট ডা. নাঈম আহমদ ব্রিটিশ এম্পায়ার মেডাল পাচ্ছেন স্বাস্থ্য খাতে সেবামূলক ভূমিকার জন্য। কিংস কলেজ হাসপাতালে অ্যাকাডেমিক ফাউন্ডেশন ট্রেনিং শেষ করে এনএইচএস ন্যাশনাল মেডিকেল ডিরেক্টরের একজন ক্লিনিক্যাল ফেলো হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন নাঈম। তার গড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সেলফলেস ইউকে’ ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে। পাশাপাশি ১১০০ মা ও শিশুকে স্বাস্থ্যসেবা এবং পাঁচ হাজারের বেশি স্কুল শিক্ষার্থীকে ওরাল কেয়ার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এ সংগঠন।