৩০টি রোজা পূরণ করে তারা পালন করলেন ঈদ!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:০৯:৩৯,অপরাহ্ন ০৬ জুন ২০১৯ | সংবাদটি ৬৮৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: সৌদি আরব, বংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলমানরা এবার ২৯ টি রোজা পালন করেন। সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মঙ্গলবার পালিত হয় ঈদুল ফিতর। আর বাংলাদেশসহ এশিয়ায় ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয় বুধবার। কিন্তু বাংলাদেশেরই কয়েকটি জেলার কিছু সংখ্যক মানুষ ৩০টি রোজা পূরণ করে বৃহস্পতিবার পালন করেন ঈদুল ফিতর।
এছাড়াও চিরিরবন্দর উপজেলার বেশ কিছু গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে গত ৪ জুন মঙ্গলবার ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৫ জুন বুধবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।
জানাযায়, দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ ৩০ রোজা পূরণ করে বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন। এ নিয়ে চিরিরবন্দরে টনা তৃতীয় দিন ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হলো।
চিরিরবন্দর থানা পুলিশের ওসি মো. হারেসুল ইসলাম ঈদের নামাজ আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চাঁদ দেখা নিয়ে বিভ্রান্তির কারণে চিরিরবন্দন উপজেলার ৫নং আব্দুল পুর ইউনিয়নের শুকদেবপুর, পলাশবাড়ী, নান্দেড়াই ও ৪নং ইসবপুর ইউনিয়নের বিন্যাকুড়ি, দক্ষিণ নগর গ্রামের আংশিক লোকজন তারাবির নামাজ আদায় করেন এবং সেহেরি খেয়ে রোজা রাখেন। তাই তারা গত ৫ জুন ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেননি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তারা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় মেরাইডাঙ্গা ঈদগাহ মাঠে। এ মাঠে ইমামতি করেন ইমাম নাজমুল হক হামদানী ও চিরিরবন্দর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ইমামতি করেন ইমাম আব্দুল মান্নান।
ইমাম আব্দুল মান্নান বলেন, চাঁদ দেখা নিয়ে বিভ্রান্তির কারণে আমরা তারাবির নামাজ আদায় করি এবং ভোরে সাহরি খেয়ে রোজা রাখি। তাই আমরা ৩০ রোজা পূরণ করে ঈদের নামাজ আদায় করলাম।
উল্লেখ্য, চিরিরবন্দর উপজেলার বেশ কিছু গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে গত ৪ জুন মঙ্গলবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। এছাড়া ৫ জুন সারাদেশের মতো ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন অনেকে।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ২০টি গ্রামের মানুষ বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন। বুধবার (৫ জুন) এই ২০ গ্রামের প্রায় এক হাজার ২শ মানুষ রোজা রেখেছেন। জানা যায়, উপজেলার বাঙ্গিলা হামিউস সুন্নাহ্ কওমি মাদ্রাসার ৭ শিক্ষক ও ২৫০ ছাত্রসহ ২৪৫টি পরিবারের সদস্যরা বুধবার ৩০টি রোজা পূর্ণ করে বৃহস্পতিবার ঈদ উদযাপন করবেন।
ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল কাদের জানান, ‘হাদিসে আছে চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে ঈদ পালন করো। কেন্দ্রীয় চাঁদ দেখা কমিটির প্রথম ঘোষণা কোরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে ঠিক থাকলেও রাত ১১টার ঘোষণা সঠিক হয়নি। তাই কোরআন ও সুন্নাহতে বিশ্বাস করে আমরা রোজা রেখেছি।’
তিনি আরও জানান, বুধবার ভোররাতে সেহরি খেয়ে রোজা রেখেছেন এই ২০ গ্রামের মানুষ। দিনশেষে যথাসময়ে ইফতার করে ৩০ রোজা পূর্ণ করেছেন তারা। তাই বৃহস্পতিবার ঈদ উৎসব পালন করেন এই গ্রামের মানুষ।
চাঁদ দেখা নিয়ে বিভ্রান্তির কারণে লোকজন তারাবির নামাজ আদায় করেন এবং সেহেরি খেয়ে রোজা রাখেন। তাই তারা গত ৫ জুন ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেননি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তারা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় মেরাইডাঙ্গা ঈদগাহ মাঠে। এ মাঠে ইমামতি করেন ইমাম নাজমুল হক হামদানী ও চিরিরবন্দর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ইমামতি করেন ইমাম আব্দুল মান্নান।