সিলেট-তামাবিল সড়কে এখনও চলছে অবরোধ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৪:০১,অপরাহ্ন ২৩ মে ২০১৯ | সংবাদটি ২৯৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: সিলেটের জৈন্তাপুরে আসামি ধরতে গিয়ে র্যাবের সঙ্গে গরু পাচারকারী চক্রের সংঘর্ষের ঘটনার জেরে সিলেট-তামাবিল সড়কে এখনও অবরোধ চলছে।
অবরোধকারীদের দাবি, চোরালানকারীদের সাথে সংঘর্ষের পর র্যাব সাড়াশি অভিযান চালিয়ে নিরীহ এলাকাবাসীকেও আটক করে। তাদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল সাড়ে ৪ টায় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ চলছে।
র্যাব-৯ সূত্রে জানা যায়, চোরচালনাকারীদের ধরতে বুধবার মধ্যরাতে জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বালিপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব। এনসময় চোরাচালানকারীরা র্যাবের উপর হামলা চালায়। এতে বাহিনীটির ৩ সদস্য আহত হন। হামলার পর এলঅকায় অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে আটক করে র্যাব। আটককৃতদের মধ্যে ফতেহপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
র্যাব জানায়, কিছুদিন ধরে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেহপুর সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতীয় গরুর চালান দেশে আসছিল। এর প্রেক্ষিতে র্যাব সদস্যরা জড়িতদের ধরতে বুধবার রাতে বালিপাড়া ও তীলপাড়া এলাকা অভিযান চালাতে গেলে গরু পাচারকারী চক্রের সদস্যদের বাধার মুখে পড়েন। তারা র্যাব সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।
এদিকে ২২ জনকে আটকের খবরে বৃহস্পতিবার সকঅর থেকে তীলপাড়া গ্রামের লোকজন সিলেট-তামাবিল সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন হেঁটেই শহরে আসার চেষ্টা করছেন।
তীলপাড়া গ্রামবাসীর অভিযোগ, র্যাবের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে বালিপাড়া গ্রামের লোকজনের। কিন্তু তারা ধরে নিয়ে গেছে তীলপাড়ার বাসিন্দাদের। তাই তাদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে র্যাব-৯ মিডিয়া উইং জানায়, গরু পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত ২২ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ মঈনুল জাকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, বুধবার মধ্যরাতে বালিপাড়া থেকে লালাখালের এক বাসিন্দাকে ভারতীয় গরুসহ আটক করে র্যাব। পথিমধ্যে পাচারকারী চক্রের কিছু সদস্য র্যাবের গাড়ি ব্যারিকেড দিয়ে আটকে আসামি ও গরু ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর র্যাব সদস্যরা আবার বালিপাড়া ও তীলপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ফতেহপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ ২২ জনকে ধরে নিয়ে যায়। এর প্রেক্ষিতে এলাকার লোকজন আটক ব্যক্তিদের ছাড়াতে সড়ক অবরোধ করে। বর্তমানে দুই গ্রামের লোকজন সড়কে অবস্থান করছে।
তিনি বলেন, ঘটনাটি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থলে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন।
বিকেল সাড়ে ৩টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, সিলেট-তামাবিল সড়ক এখনো অবরোধ করে রাখা হয়েছে। পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছে।