সি আর দত্ত স্মরণে পিবি টিভির চির অম্লান সি আর দত্ত অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ১:২৬:৪৭,অপরাহ্ন ২৭ আগস্ট ২০২০ | সংবাদটি ৯৮০ বার পঠিত
সদ্য প্রয়াত মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সি আর দত্ত স্মরণে যুক্তরাজ্য থেকে সম্প্রচারিত পিবি টিভি আয়োজন করে ভার্চুয়াল স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান চির অম্লান সি আর দত্ত।
গত ২৬ আগষ্ট বুধবার যুক্তরাজ্য সময় বিকাল ৪.৩০ ঘটিকার সময় পিবি টিভির হ্যালো ওয়েলস এর বিশেষ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, সি আর দত্ত ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাতিঘর, ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয়ে তার অসাধারণ অবদানের কথা বাঙালী জাতি চিরকাল গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ রাখবে।
সাংবাদিক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের উপস্থাপনায় ‘চির অম্লান সি আর দত্ত’ ভার্চুয়াল স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা দেওয়ান গৌছ সুলতান, শাহ ফারুক আহমেদ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম খান এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, সাংবাদিক আনোয়ার শাহজাহান।
আমন্ত্রিত অতিথিরা সি আর দত্তের কর্মময় জীবন তুলে ধরে বলেন, সি আর দত্ত ছিলেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার এক উজ্জ্বল প্রেরণা। তিনি দেশকে স্বাধীন করার লড়াইয়ে এক পাও পিছিয়ে থাকেন নি। ভারতে চলে গিয়ে ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার পদে আসীন হবার পর তিনি যে বীরত্ব আর কৌশল উপহার দিয়েছিলেন তার তুলনা বিরল। সিলেটের চা বাগান এলাকায় তিনি যুদ্ধ সংগঠিত করা ছাড়া ও পুরো একাত্তরেই ছিলেন সক্রিয়। আর সেই সক্রিয়তার কারণেই দেশ স্বাধীন হবার পর তার ললাটে জুটেছিল বীরোত্তম খেতাব।
আমন্ত্রিত অতিথিরা আরো বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সীমান্তরক্ষী বাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন এবং মেজর জেনারেল সি আর দত্ত, বীর উত্তমকে বাহিনী গঠনের গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন। পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নামে সীমান্তরক্ষী বাহিনী গঠন করেন এবং বাহিনীর প্রথম ডাইরেক্টর জেনারেল নিযুক্ত হন।
আমন্ত্রিত অতিথিরা সি আর দত্তের নামানুসারে হবিগঞ্জে একটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পাঠাগার গড়ে তোলার জন্য অনুরোধ করেন। তারা বলেন, এই পাঠাগারে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতার লোমহর্ষক বিবরন লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ করা হবে।
সি আর দত্ত অবসর গ্রহণের পরে নানা সামাজিক রাজনৈতিক দায়িত্বে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন দীর্ঘদিন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার সেক্টর কমাণ্ডার ফোরামের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন সি আর দত্ত, ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিও।
ভার্চুয়াল স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানটি পিবি টিভির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।