এমপি পাপুলের সহযোগি কুয়েতের দুই এমপি এবার আটক!
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:১৫:৩৮,অপরাহ্ন ২৭ জুন ২০২০ | সংবাদটি ৫৫০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: কুয়েতে আটক বাংলাদেশের এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের অর্থ ও মানব পাচারে সহযোগিতা করার অভিযোগে এবার কুয়েতের দুই এমপিকে হেফাজতে নিয়েছে দেশটির অপরাধ তদন্ত সংস্থা।
শনিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় দুবাই থেকে প্রকাশিত গালফ টাইমসের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
গালফ টাইমসের খবরে বলা হয়, কুয়েতের দুই এমপি এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে পাপুলের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। বর্তমানে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
খবরে আরও বলা হয়, এর আগে এই দুই এমপি’র সংসদ সদস্য হিসেবে ‘দায় মুক্তি সুবিধা’ প্রত্যাহারের জন্য সংসদ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় পাবলিক প্রসিকিউশন দপ্তর। তাদের দায়মুক্তি সুবিধা সাময়িকভাবে স্থগিতের পরই তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।
এদিকে, কুয়েতের আরবী দৈনিক আল কাবাস বুধবার (২৪ জুন) জানিয়েছে, বাংলাদেশের সাংসদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কুয়েতের তিন সরকারি কর্মকর্তাকে আটক করেছে সেখানকার সিআইডি। মঙ্গলবার (২৩ জুন) রাতে তাদের তিনজনকে আটক করা হয়। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পাবলিক প্রসিকিউটর।
কুয়েতের কূটনৈতিক ও ব্যবসায়িক সূত্রগুলো জানিয়েছে, মঙ্গলবার আটক তিন জন কর্মকর্তার একজন হচ্ছেন কুয়েতের জনশক্তি কর্তৃপক্ষের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি। আটক ওই আন্ডার সেক্রেটারি দেশটির প্রভাবশালী প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার আত্মীয়। এরই মধ্যে পাবলিক প্রসিকিউশনের সুপারিশে তাঁকে সরকার তিন মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করেছে। কাজী শহীদ তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে জানিয়েছেন, ওই কর্মকর্তা তাঁকে ব্যবসায়িক কাজে সুবিধা পেতে সাহায্য করেছেন।
মানব পাচার ও অবৈধ মুদ্রা পাচারের অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুল, তাঁর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মুর্তজা মামুন, কুয়েতের তিন কর্মকর্তা ও সর্বশেষ দেশটির দুই এমপিসহ মোট ৭ জনকে আটক করা হলো।
গ্রেফতারের তালিকায় আরো অনেকেই রয়েছে,এখনো তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। সন্দেহভাজন অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।