বেসরকারি শিক্ষকদের হালচাল, মাদারিসে কাওমিয়ার ভবিষ্যৎ কি?
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৩৪:০০,অপরাহ্ন ২২ জুন ২০২০ | সংবাদটি ৭৬০ বার পঠিত
চীনের উহান শহর থেকে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের ঘাম ঝরছে ভাইরাসটির কার্যকর ওষুধ আবিষ্কারে। কিন্তু এখনো ভ্যাক্সিন তৈরি করা সম্ভব হয়নাই৷
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ গত ১৮ জুন সংবাদ বুলেটিনে করোনা সম্পর্কে বলেন, আগামী ২ থেকে ৩ বছরে দেশের মানুষের করোনা থেকে মুক্তি নেই। তিনি বলেন, বিশ্ব জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন দেশের তথ্য অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে করোনা বিষয়ে এই মত দিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাস সহজে যাচ্ছে না। তাই দেশবাসীর আগেভাগে এ বিষয়ে প্রস্তুত থাকা দরকার।
মানুষ যখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে তখন এসব দুঃসংবাদ এবং নতুনকরে রেড, ইয়েলো ও গ্রীন জোনে ভাগ করে আবারও লকডাউন আমাদের জন্য চরম হতাশা এবং বেদনার! দেশের ৬০ পার্সেন্ট খেটেখাওয়া মানুষ, বেসরকারি চাকুরিজীবী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চরম আতংকে। নিম্নবিত্তদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের চোখে অনিশ্চিত অন্ধকার।
উন্নয়নের রোডে প্রিয় বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে এখন কানাডার পথে যদি আমরা বলে থাকি তাইলে সেসব রাষ্ট্রসমূহ তাদের নাগরিকদের উপার্জন বন্ধ হলেও সমপরিমান প্রণোদনা প্রত্যেকের ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছে দিচ্ছে। লকডাউনের কারণে তাদের রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও নাগরিকদের জীবনযাত্রায় তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। আমার দেশ কী তাদের মতো কিঞ্চিৎ হলেও পারবে?
সরকারের বিকাশ হাদিয়া সিংহভাগ মোবাইলে এখনো আসেনি। অনেক ইমামদের হাদিয়াও মুতাওয়াল্লির পকেটে কিংবা ব্যাংক একাউন্টে। ত্রাণকর্তা ফটোসেশানকারী নেতা ও সমাজসেবীরা আগেরমতো মাঠে নাই। নিরবে দানকারীরাও আর কত দেবে! মধ্যবিত্তদের প্রতি খুব একটা তাকানো হয়নি আগেও। তারাও আত্মমর্যাদায় কারও কাছে হাত পাতেনি। বাস্তবে তারাই এখন সবচেয়ে বেশি কষ্টে দিনাতিপাত করছে।
দেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠী (নিম্ন ও মধ্যবিত্ত) কওমি মাদ্রাসা ও বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সাড়ে তিনমাস হয়ে গেছে অনেকেই বেতন-ভাতা পাচ্ছে না। দায়িত্বশীলরাও চেষ্টা করে পারছেন না তাদের চাহিদা পূরণ করতে। এদের অধিকাংশই এ পেশার বিকল্প রোজগারের কোন ব্যবস্থা নাই। তারা কিভাবে চলছে? তাদের পরিবারের কী হাল? প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও তাদের একাউন্টেতো মাস শেষে বেতন জমা হয় না।
সরকারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ সিদ্ধান্তের সাথে জাতীয় ও স্থানীয় কওমি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষের কী চিন্তাভাবনা ও নির্দেশনা? এভাবে আর কতদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে? মাদারিসে কাওমিয়ার ভবিষ্যৎ কোনদিকে আগাচ্ছে? উত্তরণের পরিকল্পনা কি? আমি নালায়েক কিছুই জানি না। আশাকরি বিজ্ঞজনেরা জানা থেকে কিছু বলবেন।