গোলাপগঞ্জে ১২ দিন পর এলো রিপোর্ট, আক্রান্ত নারীর আগেই মৃত্যু!
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪৪:৪৬,অপরাহ্ন ১৮ জুন ২০২০ | সংবাদটি ৫০৬ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: সিলেটের গোলাপগঞ্জে করোনাভাইরাস উপসর্গের স্যাম্পল সংগ্রহের ১২ দিন পর এলা রিপোর্ট। আর এ রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসা এক নারী আগেই মারা গেছেন।
মারা যাওয়া নারী গোলাপগঞ্জ পৌরসভার উত্তর রণকেলী এলাকার সেলিনা বেগম (৫৫)।
স্যাম্পল দেয়ার ১২ দিন পর রিপোর্ট আসা এবং রিপোর্ট আসার আগে আক্রান্ত একজন মারা যাওয়ায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। মারা যাওয়া নারীর সংস্পর্শে আসা অনেকে হয়তো আক্রান্ত হতে পারেন। যা গোলাপগঞ্জের জন্য বিপদজনক হয়ে ওঠতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) বিকেলে রিপোর্ট আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শাহিনুর ইসলাম শাহিন।
তিনি জানান, গত ৬ জুন স্যাম্পল সংগ্রহ করা ব্যক্তিদের রিপোর্ট আসে ১৮ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকেলে। নতুন আসা এ রিপোর্ট উপজেলার ৫ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়ে। এ ৫ জনের মধ্যে ৫৫ বছরের এক নারী স্যাম্পল সংগ্রহ করার ২/৩ দিন পর নর্থইস্ট মেডিকেলে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছেন। নতুন আসা রিপোর্টে তার এক মেয়েও আক্রান্ত রয়েছে। সে বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছে।
এছাড়া নতুন আক্রান্ত বাঘা ইউনিয়নের অপর এক পুরুষ সিলেট শামসুদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
স্যাম্পলের রিপোর্ট আসার আগে মারা যাওয়া নারীর ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা. শাহিনুর ইসলাম শাহিন প্রতিবেদককে জানান, ঐ নারী যে মারা গেছেন তা আমরা জানতামই না। আজ রিপোর্ট আসার পর ফোন করলে ঐ মহিলার ছেলে জানান তিনি মারা গেছেন। আর ওনার মেয়ে বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।
মারা যাওয়া নারীর সংস্পর্শে আসা অন্যদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা যদি আমাদের জানাত, তাহলে স্বাস্থ্যবিধি নিয়মে আমাদের লোকদের মাধ্যমেই মৃতের গোসল ও দাফনের ব্যবস্থা করা হত। যেহেতু তারা আমাদের জানায়নি, এজন্য সেলিনা বেগম মারা যাওয়ার পর তার সংস্পর্শে আসা সকলকে আমি বলব, আপনারা নিজ নিজ বাসা বাড়িতে অবস্থান করুন। কোন সমস্যা দেখা দিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করারও আহবান জানান তিনি।
সেলিনা বেগমের পরিবারের আর কারো স্যাম্পল সংগ্রহ করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেলিনা বেগমের ছেলে জানিয়েছেন তারা সকলে সুস্থ্য আছেন এবং সকলেই বাসায় অবস্থান করছেন।