বেশি দামে ‘আদা’ বিক্রি, আড়ৎ সিলগালা!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৩০:০৯,অপরাহ্ন ২৬ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ৯২৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বেশি দামে আদা বিক্রি করায় রাজধানরী পুরান ঢাকার শ্যামবাজরের আয়নাল অ্যান্ড সন্স নামের একটি আড়ত সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
রবিবার (২৬ এপ্রিল) অভিযান চালিয়ে তথ্যপ্রমাণ সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। এ সময় সঙ্গে ছিলেন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার ও রজবী নাহার রজনী।
অভিযান প্রসঙ্গে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, এখন আমদানির আদা কেজিতে সবোর্চ্চ খরচ পড়ে ৯৭ টাকা। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটি গত কয়েক সপ্তাহে হু হু করে বেড়ে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরায় দাম বেড়েছে। তাই আদার দাম নিয়ন্ত্রণে শ্যামবাজারের আড়ত মালিক সমিতি সঙ্গে বসা হয়।
ব্যবসায়ীরা আলোচনা করে পাইকারিতে আদার মূল্য সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু আয়নাল অ্যান্ড সন্স গোপনে ১৫০ টাকার আদা ২০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করে। গোপন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজকে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালাই। এ সময় দাম বেশি রাখার বিষয়টি হাতেনাতে প্রমাণ হয়।
তিনি বলেন, আইন অমান্য করে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করায় প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক সিলগালা করা হয়েছে। তারা কেন এ কাজ করল তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। যথাযথ উত্তর দিতে না পারলে প্রতিষ্ঠানটি স্থায়ীভাবে সিলগালা করে দেয়া হবে।
রোববার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আদার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। মাসের শুরুতেই পণ্যটির দাম ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। ১৫ থেকে ২০ দিনের ব্যবধানে আদার দাম বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।
অভিযান চলাকালে হ্যান্ডমাইকে চাল, ডাল, রসুন, আদা, পেঁয়াজ, মরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন করা, প্রদর্শনকৃত মূল্যে অপেক্ষা অধিক মূল্যে এ সকল পণ্য বিক্রয় না করা, চলমান করোনা পরিস্থিতি ও রমজানকে কেন্দ্র করে অতি মুনাফা লাভ থেকে বিরত থাকার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।