সিলেটে প্রবেশের পূর্বে মাপা হচ্ছে তাপমাত্রা!
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৩২:৫১,অপরাহ্ন ২০ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ৪৫৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউন পুরো সিলেট জেলা। লকডাউনের পর থেকেই অন্য কোন জেলা থেকে মানুষ বা গাড়ি প্রবেশে কড়াকড়ি চলছে। তবে এবার বিভিন্ন জেলা থেকে সিলেটে প্রবেশের আগে ৫ টি পয়েন্টে ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা মাপার পর গাড়ী বা লোকদের প্রবেশ করানো হচ্ছে।
এসব প্রবেশ মুখগুলো হচ্ছে- ওসমানীনগর থানার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুর টোলপ্লাজা, বিশ্বনাথ থানার সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কস্থ মহাতাবপুর পয়েন্ট, বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কস্থ মিয়াবাজার পয়েন্ট, ফেঞ্চুগঞ্জ থানার মৌলভীবাজার-সিলেট সড়কস্থ পালবাড়ি পয়েন্ট এবং বিয়ানীবাজার থানার বিয়ানীবাজার-বড়লেখা সড়কস্থ বরইগ্রাম পয়েন্টে।
এসব পয়েন্ট দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ অন্যান্য জরুরি পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত যানবাহনের চালকদের থার্মাল থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
গত ১১ এপ্রিল থেকে সিলেট জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সিলেট জেলার ৫টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করে সিলেট জেলা পুলিশ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২০ এপ্রিল) থেকে সিলেট জেলার প্রবেশ এবং বের হওয়ার ৫টি স্থানে থার্মাল থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা মেপে লোকজনকে প্রবেশ করাচ্ছেন জেলা পুলিশের সদস্যরা।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম জানান, সিলেট জেলা লকডাউন ঘোষণার পর থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহন সিলেট জেলায় প্রবেশ করতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী যানবাহনের চালকরা যদি জ্বরে আক্রান্ত থাকেন, তবে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক নির্দিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে। এদের মাঝে কারো মধ্যে যদি করোনার সংক্রমণ থাকে, তাহলে তাদের মধ্য থেকে যেন অন্যরা সংক্রমিত না হয় সেজন্য আমরা এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রত্যেকটি থানায় আগত সেবাপ্রত্যাশী এবং পুলিশ সদস্যদের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য এই থার্মোমিটার ব্যবহার করা হচ্ছে।