বাংলাদেশি অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় কমিউনিটিতে অস্বস্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১৯:৩৪,অপরাহ্ন ২০ মার্চ ২০২০ | সংবাদটি ৩৬৮৭ বার পঠিত
বাংলাদেশি অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় কমিউনিটিতে অস্বস্তি বিরাজ করছে। অপর দিকে স্বার্থপর ক্রেতারা খাবার মজুদ করছে প্রয়োজনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।
আনোয়ার শাহজাহান, লন্ডনঃ মুনাফাখোর এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ব্রিটেনে বাংলাদেশীদের জীবন আজ অতিষ্ঠ। করোনাভাইরাসের আক্রমণে বাংলাদেশী পরিবারগুলো যখন দুশ্চিন্তায় সময় কাটাচ্ছে তখন কিছু সংখ্যক প্রতারক হালাল গ্রোসারীর মালিকরা মাংস, মোরগ, মাছ, তেল, চাল, ডাল এবং বাংলাদেশী শাক-সবজির মূল্যবৃদ্ধি করে প্রবাসীদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছেন। ফলে সামাজিক মিডিয়া, টিভি এবং পত্র-পত্রিকায় তাদের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠছে।
বাংলাদেশি মালিকাধীন এক শ্রেণীর নীতি-আদর্শহীন, অতি মুনাফালোভী, অসাধু হালাল গ্রোসারী ব্যবসায়ীরা দিনে দিনে কোটিপতি হওয়ার বাসনায় তাদের ইচ্ছামতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা অচল করে দিয়েছে; যার ফলে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন ও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা ‘স্লটার হাউজ’ এবং ক্রেতাদের অতিরিক্ত পণ্যদ্রব্যের কেনার দোহাই দিয়ে দাম বাড়ালেও অন্যান্য দেশী হালাল গ্রোসারী দোকান তাদের চেয়ে অর্ধেক দামে বিক্রি করছে। এমন কি বৃটিশ সুপারস্টরে এ সকল পণ্যদ্রব্যের দাম কমিয়ে বিক্রি করছে।
ব্রিটেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সবচেয়ে প্রিয় খাবার হল ভেরির মাংস (শিপ)। করোনাভাইরাসের এই ক্লান্তিকালে যখন অন্যান্য কমিউনিটির হালাল সপে প্রতি কেজি ৬ থেকে ৭ পাউন্ড বিক্রি করছে তখন বাংলাদেশী হালাল সপ বিক্রি করছে ১০ থেকে ১৫ পাউন্ড করে।
আসডা, সেইন্সবারি, মরিসন সহ বিভিন্ন সুপারস্টরে ৫ কেজি টিলডা বাসমতি চাল ১০ পাউন্ড, ৫ কেজি সালাম বাসমতি ৫ পাউন্ড এবং ১০ কেজি লায়লা বাসমতি ১০ পাউন্ড করে বিক্রি করলেও বাংলাদেশি অধিকাংশ গ্রোসারী দোকানে এগুলো বিক্রি হচ্ছে দুইগুন/তিনগুণ দামে। ঠিক তেমনি মাছ, ডাল, তেল, ময়দা বাংলাদেশি শাক-সবজি, কাঁচা মরিচ, আলু দ্বিগুণের চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে খাদ্যের সংকট দেখা দিতে পারে-এমন আশঙ্কায় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি নিত্যপণ্য কিনছেন এক শ্রেনীর স্বার্থপর ক্রেতারা। ২০ কেজি চালে যে পরিবারের এক মাস চলে তিনি কিনছেন ২০০ কেজি চাল। মাছ-মাংস, তেল এবং অন্যান্য দ্রব্যও কিনছেন কয়েক মাসের জন্য।
আনোয়ার শাহজাহান, সম্পাদক, আমাদের প্রতিদিন, লন্ডন, ২০ মার্চ ২০২০।