ত্রিপুরায় স্কুল আঙ্গিনায় শিক্ষককে মারধরের ভিডিও ভাইরাল!
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৩২:৫১,অপরাহ্ন ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ১৫৬৬ বার পঠিত
ইমরান আহমদ:: স্কুল আঙ্গিনায় শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর সামনে এক শিক্ষককে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা গেছে মুখে দাড়ি ও পাঞ্জাবী-পায়জামা পড়া শিক্ষককে হিন্দু নারী ও পুরুষরা বেধম মারধর করছে। আর সিলেটী ভাষায় ঐ শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে নারীরা। তাদের হামলা থেকে বাঁচতে ক্লাসরুমে দৌড়ে গিয়েও রক্ষা পাননি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হলে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। তবে এ ঘটনাটি সিলেটে নয়। সিলেট সীমান্ত পাশ্বর্তী ভারতের ত্রিপুরার একটি স্কুলের ঘটনা। ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে বলে জানাগেছে।
উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরের গঙ্গানগর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের ওই শিক্ষককে নিয়ে যেমন ছি-ছি রব উঠেছে ঠিক তেমনি তাঁকে মারধরের ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে।
জাগরণত্রিপুরা ডট কম জানায়, গত ২৩ নভেম্বর (শনিবার) গঙ্গানগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়েরই শিক্ষক জনৈক নজরুল ইসলাম নির্জন শ্রেণিকক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার দু’দিন পর ২৫ নভেম্বর (সোমবার) অভিভাবকরা এই অভিযোগ তুলেছেন।
স্থানীয়দের বক্তব্য, ওই ছাত্রী শনিবার বাড়ি ফিরে গিয়ে অভিভাবকদের গোটা ঘটনা বিস্তারিত জানিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ছাত্রীটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবক-সহ এলাকাবাসী বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির শরণাপন্ন হন।
ঘটনার দিন বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সদস্যরা শিক্ষক নজরুল ইসলামের কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চান। কিন্তু নজরুল তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তখন অভিভাবকরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশও খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে ছুটে আসে। কিন্তু হঠাত্ ওই ছাত্রীর অভিভাবক-সহ অন্যরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সামনেই অভিভাবক-সহ স্থানীয়রা আইন নিজেদের হাতে তুলে নেন। তারা সকলে মিলে অভিযুক্ত শিক্ষককে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। তারা এতটাই উত্তেজিত হয়ে পড়েন, শিক্ষককে বাঁচাতে গিয়ে পুলিশ কর্মীরাও মার খেয়েছেন। এখানেই থেমে থাকেননি তারা। পুলিশের সামনেই অভিযুক্ত শিক্ষকের বাইক ভেঙে ফেলেন তারা। পুলিশ কোনওক্রমে অভিযুক্ত শিক্ষক নজরুল ইসলামকে সেখান থেকে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনায় এলাকায় প্রচণ্ড উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলেছেন, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের আচরণে শিক্ষক সমাজ কলঙ্কিত হয়েছে। কিন্তু আইন হাতে তুলে নেওয়াও অভিভাবক ও স্থানীয়দের উচিত হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় তদন্ত হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সুত্র: জাগরণত্রিপুরা ডট কম
শিক্ষককে মারধরের ভিডিও