আবেদন করেও কাশ্মীরে ঢুকতে পারেননি মার্কিন সিনেটর!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪০:১১,অপরাহ্ন ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৩৩৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে প্রবেশের অনুমতি পাননি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের ডেমোক্রেট সিনেটর ক্রিস ভ্যান হলেন। কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের আবেদন সত্ত্বেও সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। সরকারি একটি সূত্রের দাবি, নিরাপত্তার কারণে তাকে কাশ্মীরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি।
সম্প্রতি দুই দিনের সফরে ভারতে রয়েছেন ক্রিস ভ্যান হলেন। গত সপ্তাহে ভারত সরকারকে চিঠি দিয়ে কাশ্মীরে যাওয়ার আবেদন করেছিলেন তিনি। দিল্লিতে একাধিক সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গেও সাক্ষাৎ স্বত্ত্বেও সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোন সাড়া মেলেনি।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে ক্রিস বলেন,‘‘কাশ্মীরে গিয়ে নিজের চোখে পরিস্থিতি কেমন দেখতে চেয়েছিলাম। ভারত সরকারের আপত্তিতে তা হয়ে ওঠেনি। কোনও কিছু লুকানোর না থাকলে, সেখানে পা রাখা নিয়ে ভয় থাকার কথা নয়। আমার মতে, কাশ্মীরের যা ঘটছে, ভারত সরকার তা কাউকে দেখতে দিতে চায় না।’’
কাশ্মীর উপত্যকাকে বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন,‘‘নিজের চোখে কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে চেয়েছিলাম। সেই মতো এক সপ্তাহ আগে থেকে আবেদন জানিয়ে রেখেছিলাম। তা স্বত্ত্বেও অনুমতি পাইনি। কাশ্মীরে যাওয়ার পক্ষে এখন সময় অনুকূল নয় বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তবে ক্রিস ভ্যানের দাবির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে একটি সূত্রে জানা যায়, নিরাপত্তার কারণেই বিদেশিদের কাশ্মীরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
সিনেটর ক্রিস ভ্যান হলেনের বাবা ক্রিস্টোফার ভ্যান পাকিস্তান ও ভারতের মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। এ কারণে বিভিন্ন সময় জম্মু-কাশ্মীরে ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভারত ও পাকিস্তান বংশোদ্ভূত মুসলিম অধ্যুষিত মেরিল্যান্ডের সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বরাবরই কাশ্মীর নিয়ে সরব ছিলেন। গত সপ্তাহে তার উদ্যোগে হাউজ অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস কমিটিতে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে একটি বিশেষ বিল গৃহীত হয়। বিলে উপত্যকার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এছাড়া, অবিলম্বে কাশ্মীরের সব বন্দিদের মুক্তিসহ সর্বত্র কারফিউ তুলে নেওয়ার দাবি করা হয়।
গত ৫ আগস্ট ভারত সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে। এর মাধ্যমে গত ৬৭ বছর ধরে পাওয়া বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু-কাশ্মীর। এর পর সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কাশ্মীরের জনগণকে ব্যাপক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে বন্দি করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।