ভাইয়ের পদত্যাগে ধাক্কা খেলেন ব্রেক্সিটপন্থি বরিস!
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৩৪:৫৭,অপরাহ্ন ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৩৫০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ছোট ভাই জো জনসন এমপি ও মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) পারিবারিক আনুগত্য এবং জাতীয় স্বার্থ এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে ব্যর্থ হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জো জনসন। ‘বিবিসি নিউজ’
জো জনসনের এই পদত্যাগে সর্বশেষ ধাক্কা পেল ব্রেক্সিটপন্থি বরিস জনসন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত চুক্তিহীন ব্রেক্সিটকে পার্লামেন্টে আটকে দিতে ইতোমধ্যেই বিল পাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেন সরকার। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ লর্ডসের অনুমতি ক্রমে ওই বিলটি পাস করা হবে।
এর আগে গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রস্তাবটিতে সমর্থন জানান পার্লামেন্টের অধিকাংশ আইনপ্রণেতা। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন হাউজ অব কমন্সে একই দিন রাতে পরপর দুই দফায় পরাজিত হন।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে ব্রেক্সিট ইস্যুতে কোনো ধরনের সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারায় আচমকা পদত্যাগের ঘোষণা দেন ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। মূলত তার সরে দাঁড়ানোর পর দেশটির নতুন নেতা তথা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থি নেতা বরিস জনসন।
ব্যবসায়ী মন্ত্রী এবং দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের অর্পিংটনের এমপি জো জনসন ২০১৬ সালের ইইউ সদস্যপদে থাকতে হওয়া গণভোটে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু ঠিক ওই সময়ই তার ভাই বরিস জনসন ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ক্যাম্পেইন করছিলেন। এছাড়াও থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তির প্রতিবাদে তিনি গত বছর মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
তবে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা বরিস জনসনকে নেতা হিসেবে নির্বাচিত করার পরে, পুনরায় সরকারে প্রবেশ করেন জো জনসন। এতে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন জো জনসন।