ব্রিটিশ পার্লামেন্ট স্থগিত, প্রতিবাদে রাস্তায় জনগণ!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৪৯:০৮,অপরাহ্ন ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৩৬৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: আচমকা পার্লামেন্ট স্থগিত করার বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবার ব্রিটেনজুড়ে বিক্ষোভ পালন করছে জনগণ। যার অংশ হিসেবে ম্যানচেস্টার, লিডস, ইয়র্ক ও বেলফাস্টের সড়কে নেমে আসেন হাজারো বিক্ষোভকারী।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসি নিউজের’ দাবি, চলমান বিক্ষোভের কারণে এরই মধ্যে স্থবির হয়ে পড়েছে সেন্ট্রাল লন্ডনের বেশিরভাগ এলাকা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘বরিস জনসন, ধিক্কার জানাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। যদিও প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে মিছিল নিয়ে ওয়েস্ট মিনিস্টারে জড়ো হয় বরিসের সমর্থকদের ছোট একটি গ্রুপ।
এর আগে গত বুধবার (২৮ আগস্ট) আচমকা পার্লামেন্ট স্থগিতের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। মূলত এর পর থেকে ব্রিটিশ এমপি ও বিরোধী আইনপ্রণেতাদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। যদিও বরিস জনসন এরই মধ্যে তার পরিকল্পনায় পুরোপুরি সফল হয়েছেন; যে কারণে আগামী ২৩ কর্ম দিবস পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
গণমাধ্যমের দাবি, শনিবার (৩১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্রিটেন ছাড়াও এডিনবার্গ, বেলফাস্ট, এক্সটার, ক্যামব্রিজ, লিভারপুল, নটিংহ্যাম, ম্যানচেস্টার এবং বার্মিংহ্যামসহ যুক্তরাজ্যের ৩০টির বেশি শহরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তাছাড়া বিক্ষোভকারীরা লন্ডনের হোয়াইটহল এবং ওয়েস্ট এন্ডের সড়ক অবরোধ করে। পরবর্তীতে বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রাফালগার স্কয়ারে একটি সংক্ষিপ্ত অবস্থান কর্মসূচিও পালন করে। পরে তারা ‘কার গণতন্ত্র? আমাদের গণতন্ত্র’ বলে চিৎকার করতে করতে বাকিংহ্যাম প্যালেসের দিকে যাত্রা শুরু করে। পরে যদিও পুলিশি বাধায় তা আর সামনে এগোতে পারেনি।
এ দিকে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, তারা এরই মধ্যে তিন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে বিবৃতিতে এর চেয়ে বেশি কিছু জানায়নি পুলিশ। যদিও বিরোধী গ্রিন পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আটককৃতদের মধ্যে লন্ডন অ্যাসেম্বলির সদস্য ক্যারোলিন রাসেলও আছেন।
দলটির কো-লিডার সিয়ান বেরি এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোয় আমি ক্যারোলিনের জন্য গর্বিত। আমরা এ জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যেতেও প্রস্তুত।’
অপর দিকে লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিট প্রাঙ্গণে বিক্ষোভের অন্যতম আয়োজক লরা পার্কার বলেছেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রকে এবার কুক্ষিগত করার চেষ্টা চলছে। আমরা সে সুযোগ কখনোই একজন অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেব না।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বরিস আমাদের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ধ্বংসের চেষ্টা করছেন। তবে আমরা জানি আপনি (বরিস জনসন) কোথায় থাকেন; কীভাবে আপনাকে প্রতিহত করতে হয়।’