আসামের চুড়ান্ত তালিকা দেখে ক্ষেপেছেন বিজিপি নেতারাও!
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩৯:৩৩,অপরাহ্ন ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৭৯৩ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: আসামে নিজেদের তৈরি করা ফাঁদে আটকা পড়েছে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি। দলটি আসাম রাজ্য থেকে মুসলমানদের তাড়াতে নাগরিক তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছিল। প্রথম নাগরিক তালিকায় ৪০ লাখের মত জনগণের নাগরিকতাই বাতিল করে বিজেপি সরকার। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীদের আপিলের পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয় শনিবার (৩১ আগস্ট)।
এবার সেই তালিকায় বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ মানুষ। বিজেপির পরিকল্পনা ছিল ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ বলে মুসলিমদের দেশহীন করা। কিন্তু চূড়ান্ত এই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাদের বেশীরভাগই হিন্দু!
অর্থাৎ ১৯ লাখের মধ্যে ১১ লাখই হিন্দু, আর বাকি ৬ লাখের বেশি হচ্ছেন মুলসিম।
বিজেপির আসাম রাজ্যের সভাপতি রণজিৎ কুমার
নিজেদের তৈরি ফাঁদে পা দিয়ে এখন বোল পাল্টেছে রাজ্য বিজেপি। দলটির আসাম রাজ্যের সভাপতি রণজিৎ কুমার শনিবার এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি জানান যে, প্রকাশিত চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা বিশ্বাস করেন না তারা।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই তালিকা বিশ্বাস করি না। আমরা খুবই অখুশি। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে আমরা অনুরোধ জানাই যেন জাতীয় পর্যায়ে একটি তালিকা করা হয়।’
রণজিৎ কুমারের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, হিন্দুত্ববাদীরা সর্বশেষ তালিকা দেখে খুশি হতে পারেনি। তাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। ১৯৭৯ থেকে গত চার দশক এই হিন্দুত্ববাদীরা বলেছেন, ৮০ লাখ বাংলাভাষী আসামে অবৈধভাবে বসবাস করছে। কল্পিত এসব সংখ্যাই ছিল আসামের রাজনীতিতে তাদের এতদিনকার পুঁজি।
১৯৭৯ সালে নিখিল আসাম ছাত্র ইউনিয়ন বা ‘আসু’ বিদেশী তাড়ানোর নামে আন্দোলন শুরু করে। ৫ বছর স্থায়ী ওই আন্দোলন শেষ হয় ১৯৮৫ সালে তৎকালীন রাজীব গান্ধীর সরকারের সাথে চুক্তির ফলে।
আসুর সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের ঐ চুক্তি কারণে আসামে শুরু হয় ‘বিদেশি’ শনাক্ত করার বিবিধ কার্যক্রম। যার বড় অধ্যায় শেষ হলো প্রায় ৩৪ বছর পর, ২০১৯ সালের আগস্টে এসে।
এখন আসু বলছে তারা এই তালিকার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবে।