ছাদ ধ্বসে পড়ায় ‘গেরেজ’ উপজেলা চেয়ারম্যান অফিস!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৫:৩৩,অপরাহ্ন ০৮ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৪০৯ বার পঠিত
মোঃ ওমর ফারুক, শরীয়তপুর থেকে:: শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের অফিস কক্ষের ছাদ ধসে পড়েছে। এতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মো. আবুল খায়ের, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম অফিস করছেন গাড়ীর গেরেজ বসে।
বুধবার (৭ আগস্ট) রাত সাড়ে নয়টার দিকে হঠাৎই শব্দ করে উপজেলা পরিষদের অফিস কক্ষ কাম বাসভবনের ছাদের মূল অংশ ভেঙ্গে পড়ে। রাতে ঘটনাটি ঘটায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আসবাপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক।
তবে আতঙ্ক রয়েছে কখন আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটে। ভবনের বেশ কিছু জায়গায় ফাটল রয়েছে। সীমানা ঘেঁষে চলছে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের পাইলিংয়ের নির্মাণকাজ। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী একটি ভবনের মেয়াদকাল প্রায় ৯০ বছর। কিন্তু মাত্র ২৮ বছরের মাথায় বিধস্ত হয়ে ছাদের মূল অংশ ভেঙে পড়ে প্রায় দশফুট জায়গায় রড সম্পূর্ণ বের হয়ে আছে।
উপজেলা পরিষদ অফিস সুত্র জানায়, ১৯৯০-৯১ অর্থ বৎসরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের বাসবভবন নির্মাণ করে জনৈক ঠিকাদার সরদার মনিরুজ্জামান। ঐ সময় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা ব্যায়ে ভবনটি নির্মিত হয়। পরবর্তীতে সরকার উপজেলা পরিষদ বিলুপ্ত করলে ভবনটি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় থেকে গত ২০০৯ সালে বর্তমান আ.লীগ সরকার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করণের লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ চালু করলে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাসভবন কাম অফিস করা হয়। সেখানে অফিস করেন তৎকালীন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। তখনই তিনি ওই ভবনটিকে ব্যবহারের অনুপযোগী বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান। ফাটল রয়েছে ভবনের বেশ কিছু অংশে।
প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলা পরিষদের কনফিডেন্সিয়াল এ্যসিসটেন্ট সুবল বিশ্বাস বলেন, গতরাত সাড়ে নয়টার দিকে হঠাৎ ছাদের মূল অংশ পড়ে গিয়ে অফিস কক্ষের টেবিল চেয়ারগুলো ভেঙে যায়। জীবন বাঁচাতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে পড়ি। ওই সময় উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় অফিসেই ছিলেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, ব্যবহারে অনুপযোগী একটি ভবনে অফিস করছিলাম, তাও হঠাৎ বিধস্ত হলো, বর্তমান প্রশাসনিক ভবনে কোন কক্ষ অতিরিক্ত না থাকায় এখন অফিস করছি গাড়ীর গ্যারেজে বসে। আমাদের দাপ্তরিক কাজ সম্পাদনের জন্য কমপক্ষে একটি টয়লেটসহ পাঁচটি কক্ষের প্রয়োজন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মতিউর রহমান বলেন, বর্তমানে পরিষদ কমপ্লেক্সের কাজ চলেছে, চেয়ারম্যান মহোদয়ের কক্ষের ছাদের মূল অংশ বিধস্ত হওয়ার খবর শুনে উপজেলা প্রকৌশলী কে নির্দেশ দিয়েছি দ্রুত প্রাক্কলন করে মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।