ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে আসছেন বিশেষজ্ঞ!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৫:৩৬,অপরাহ্ন ০১ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৩৫১ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভারতের কলকাতার বিশেষজ্ঞ অনীক ঘোষকে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এমন তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
মেয়র বলেন, ‘কলকাতায় ডেঙ্গু নিয়ে যিনি কাজ করেছেন তার নাম অনীক ঘোষ। আমি ওনাকে ফোন করেছিলাম। উনি বলেছিলেন, তাড়াতাড়ি আমাকে ইনভাইটেশন পাঠান। আমি ইনভাইটেশন পাঠিয়ে দিয়েছি।’
রবিবার (৪ আগস্ট) অনীক ঘোষ বাংলাদেশে আসবেন জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তাকে বলেছি, তোমাদের যা যা অভিজ্ঞতা আছে তা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করো।’
ডেঙ্গু বিষয়ে জাতীয়ভাবে একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করা দরকার বলে মনে করেন মেয়র আতিকুল। তিনি বলেন, ‘আমার সততার কমতি নেই, কিন্তু অভিজ্ঞতার কমতি আছে। ডেঙ্গু রোগের জন্য অবশ্যই আমি মনে করি ৩৬৫ দিনই গবেষণা করতে হবে। এটা সিজনি (মৌসুম নির্ভর) না, এটা যেকোনো সময় আসতে পারে। তাই এটি নিয়ে জাতীয়ভাবে একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করা দরকার।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ওষুধ নিয়ে কিছু কথা এসেছে। সিটি কর্পোরেশনে যে চালানটি এসেছিল পরীক্ষার পরে আমরা দেখেছি, ওষুধগুলো কার্যকর নয়। এরপর ওষুধের ওই কোম্পানিকে আমরা কালো তালিকাভুক্ত করেছি। ওই ওষুধের চালানটিও বাতিল করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত সোমবার সরকারের একটি উচ্চ পর্যায়ের মিটিং হয়। মিটিংয়ে দেখা যায়, ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে কিছু কিছু জটিলতা ছিল। যেমন সারাবিশ্বে অনেক উন্নত ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে। কিন্তু ২০১৫ সাল থেকে সেগুলো আমদানি বন্ধ ছিল। তবে যত ধরনের সমস্যা ছিল সেগুলো মিটিংয়ে সমাধান হয়ে গেছে। এখন রেজিস্ট্রেশন করা যে কেউ সে ওষুধ আনতে পারবে।’
মশা নির্মূলে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্বারোপ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। শুধু মশা মারলে হবে না, পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এটি একটি টেকনিক্যাল ব্যাপার। আমাদের এখন তিনটি কাজ আছে। এগুলো হলো-স্বল্প সময়ের কাজ, মধ্যম সময়ের কাজ এবং দীর্ঘ সময়ের কাজ।’
হাসপাতালগুলোকে ডেঙ্গু নিয়ে কোনো বাণিজ্য না করার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে যে মূল্য তালিকা দেয়া হয়েছে সে অনুযায়ী আপনারা ফি নেবেন। সব রোগীকে আপনারা মশারির ভেতরে রাখবেন। ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে ১৪ হাজার মশারি আমি বিভিন্ন হাসপাতালে দিয়েছি। আমাদের কাছে এখনো ১৬ হাজার মশারি রয়েছে। সেগুলোও বিতরণ করা হবে।