২৪ ঘন্টায় ৪০৩ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগি হাসপাতালে!
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:১৯:৫৮,অপরাহ্ন ২২ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৯১৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ৪০৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। যা আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। এটি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একদিনে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সর্বোচ্চ রোগীর সংখ্যা বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আয়েশা আক্তার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ৮৩ জন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিডফোর্ড হাসপাতালে ৩৮ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ১২ জন , শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ৩৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৫ জন,শাহবাগ বারডেম হাসপাতালে ৯ জন, রাজারকবাগ পুলিশ হাসপাতালে ১৫ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৮ জন ভর্তি হয়েছেন। রবিবার সকাল ১০টা থেকে আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত বিজিবি হাসপাতালে (পিলখানা) ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে ৫ জন। ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে, একদিনে ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ১২৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে খুলনার হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরো জানায়, এবার ডেঙ্গুর লক্ষণ ভিন্ন হওয়ায় বাড়ছে প্রাণহানির আশঙ্কা। উচ্চ তাপমাত্রা, তীব্র ব্যথা না থাকায় চিকিৎসকের কাছে যেতে যেমন দেরি হচ্ছে, তেমনি চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়েও আছে বিভ্রান্তি। এক্ষেত্রে ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট ন্যাশনাল গাইড লাইন ২০১৮ এর নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, প্লেটলেট কমে গেলেই রক্ত দিতে হবে এই ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে রক্তের ঘনত্ব নির্ণয় করে দিতে হবে চিকিৎসা।
এ বিষয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. এম মনির হোসেন বলেন, যে পর্যায়ে রোগী শকে চলে যায় ওটার নাম ডেঙ্গুর শক সিন্ড্রোম। ডেঙ্গুর শক সিন্ড্রোম মানে হলো রক্ত নালীর পুরগুলো খুলে যাওয়া, প্লাজমা লিকেজ হয়ে যায়। প্লেটলেট এখন আমরা দিচ্ছি না, প্লেটলেট এখন জরুরি না। কিন্তু প্লেটলেট দেখে আমরা রোগীর অবস্থান সনাক্ত করি। রোগী খারাপের দিকে যাচ্ছে নাকি ভালোর দিকে। আগে থেকেই হার্ট, কিডনি সমস্যা আছে, শিশু, প্রসূতি মা কিংবা যাদের ওজন একটু বেশি তাদের চিকিৎসায় বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।