বিশেষজ্ঞদের ভাবিয়ে তুলছে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার!
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৩০:৩১,অপরাহ্ন ১৯ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ৬৩৩ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার বেশি যা ভাবিয়ে তুলছে বিশেষজ্ঞদের।
তারা বলছেন, করোনা সংক্রমণের চতুর্থ স্তরের প্রথম পর্বে রয়েছে বাংলাদেশ। জানা যাচ্ছেনা সংক্রমণের উৎস। সামাজিক সংক্রমণের মাত্রা এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তরা কাদের মাধ্যমে সংক্রমিত হচ্ছে তা জানা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের চতুর্থ স্তরের প্রথম পর্বে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এই অবস্থায় জনস্বাস্থ্য কাঠামোকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে ঘরে ঘরে গিয়ে রোগী শনাক্ত করতে হবে।
ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনে শুরু হয় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। ১১ই জানুয়ারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘোষণা দেয় চীন। ২৩ জানুয়ারি উহানসহ হুবেই প্রদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
পহেলা ফেব্রুয়ারি চীনে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে ৩৬১ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়। বাতিল করা হয় চীনা নাগরিকদের অন অ্যারাইভাল ভিসা। বন্দরগুলোতে বসানো হয় থার্মাল স্ক্রিনিং মেশিন।
তবে, দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে ৮ই মার্চ। ১৮ই মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু হয় ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের। ২১শে মার্চ ঢাকার টোলারবাগে মারা যান ৭৩ বছর বয়সী আরেক বৃদ্ধ। ২৩শে মার্চ থেকে ২৫শে মার্চ পর্যন্ত ১ জন করে মারা যান। এক সপ্তাহ বিরতি দিয়ে ১লা এপ্রিল মারা যান আরেকজন। আর ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল এই ১৫ দিনে করোনায় মারা গেছেন ৭৮ জন। প্রথম শনাক্ত হওয়ার এক মাস ১৮ দিন পর এসে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,১৪৪ জনে।