আলাদা ঘর নাই, গাছে মশারি টানিয়ে কোয়ারান্টাইন!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৬:৫৩,অপরাহ্ন ২৯ মার্চ ২০২০ | সংবাদটি ৫২১৭৩ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বাড়িতে আলাদা ঘর নেই। কিন্তু চিকিৎসক জানিয়েছেন তাদেরকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এমন অবস্থায় বাড়ির পাশে থাকা বড় গাছেই মশারি টানিয়ে থাকার ব্যবস্থা করেছেন সাত শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলায়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সম্প্রতি চেন্নাই থেকে পুরুলিয়ায় নিজের বাড়িতে ফেরেন ওই সাত শ্রমিক। এসময় তাদেরকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বাড়িতে আলাদা কোনো ঘর না থাকায় পরিবারের অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে থাকা সম্ভব হবে না এজন্য বাড়ির পাশে বড় গাছে মশারি টানিয়ে থাকার ব্যবস্থা করেছেন তারা।
আপাতত গাছেই আশ্রয় নিয়েছেন তারা। সেখানেই থাকবেন ১৪ দিন! ওই সাত শ্রমিক কাজ করতেন চেন্নাইয়ে। বাড়ি ফেরার আগে তারা গিয়েছিলেন চিকিৎসকদের কাছে। তারপর চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে এই বৃক্ষবাসী হওয়ার সিদ্ধান্ত।
চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, চেন্নাই থেকে ফিরেছেন বলে আগামী ১৪ দিন কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে। এই পরিস্থিতিতে যা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু ওই শ্রমিকদের কারও বাড়িতেই যে নেই অতিরিক্ত ঘর! অতএব গাছে আশ্রয় নেওয়া ছাড়া তাদের আর উপায় ছিল না।
শ্রমিকদের অন্যতম বিজয় সিংহ লায়া বলেন, ‘আমরা চেন্নাই থেকে এসেছিলাম। গাড়িতে করে বহরমপুর হয়ে এসেছি। আমরা সুস্থই আছি। কিন্তু চিকিৎসকরা বলে দিয়েছেন ১৪ দিন নিজেদের বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে থাকতে এবং সকলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে। কিন্তু আমাদের বাড়িতে এমন কোনো আলাদা ঘর নেই। তাই আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম এখানে থাকার।’
তিনি বলেন, ‘এখন আমরা আমাদের মতো আছি। সমস্ত নিয়ম মেনেই থাকব। সকালে আমাদের খাবার দিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দুপুর ও রাতেও ভাত দিয়ে যাচ্ছে। জলের অভাব নেই। এখানে আমাদের কাছে স্টোভ রয়েছে, যাতে জল ফুটিয়ে খেতে পারি বা প্রয়োজনে রান্নাও করে নিতে পারি।’
আপাতত গাছেই বসবাস ওই সাত শ্রমিকের। গাছের ডালের সঙ্গে কাপড় বেঁধে তৈরি হয়েছে আস্তানা। করোনা সংক্রমণ এড়াতে এখানেই ১৪ দিন থাকবেন তারা।