ভারতের ভিসা জরিমানায়ও বৈষম্য!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:১৮:৫১,অপরাহ্ন ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৪৬০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ভারতের ভিসা জরিমানায়ও এসেছে নতুন নিয়ম, নতুন বৈষম্য। শুধু ধর্মের ওপর ভিত্তি করেই নতুন জরিমানায় এই বৈষম্য কার্যকর রয়েছে বলে বাংলাদেশি কূটনৈতিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদ করেছে ভারতীয় খবরমাধ্যম দি হিন্দু।
এক দিন বেশি থাকায় সম্প্রতি ভারতীয় হাইকমিশন কর্মকর্তা একজন গরীব বাংলাদেশী নারীকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
এক বছর আগে ভারত যে ভিসা বিধান হাতে নিয়েছিল তাতে বাংলাদেশকে গভীরভাবে উদ্বেগের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। এই বিধান অনুসারে, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমকে এখন সংখ্যালঘু হিন্দু থেকে প্রায় ২০০ গুণ বেশি জরিমানা গুণতে হবে যদি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ভারতে অবস্থান করে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ভারতের এই জরিমানা কাঠামোকে ধর্মের ওপর ভিত্তি করে বৈষম্য হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন।
তারা বলেন, আসছে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বিষয়টি তুলে ধরবেন। দুই সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কলকাতা সফরের সময় এই বিষয়টি উঠে আসে। বাংলাদেশি ক্রিকেটার সাইফ হাসান মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারতে অবস্থান গ্রহণ করেন। তিনি কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেন। পরে তিনি ফরেইনারস রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) এ কথা বলেন।
এফআরআরও বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আগত সংখ্যালঘুদের ভারতে অতিরিক্ত অবস্থানের জরিমানা হিসেবে দুই বছরের জন্য ৫০০ রুপি, ৯১ দিন থেকে দুই বছরের জন্য ২০০ রুপি এবং ৯০ দিনের জন্য ১০০ রুপি দিতে হবে।
অন্যদিকে, যদি কোন ব্যক্তি যিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাইরের হন তাহলে তাকে জরিমানা গুণতে হবে মার্কিন ডলারে- যথাক্রমে ৫০০, ৪০০ এবং ৩০০ ডলার- একই সময় ভারতে অবস্থানের জন্য।
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দি হিন্দু জানায়, এর অর্থ এই যে যদি লিটন দাস (ক্রিকেটার, একজন হিন্দু) অতিরিক্ত একদিন থাকেন, তাহলে তাকে জরিমানা গুণতে হবে ১০০ রুপি যেখানে সাইফ হাসান নামের ব্যক্তিকে গুণতে হবে ২১ হাজার রুপিরও বেশি। এই হল জরিমানার পরিমাণ যা হাসানকে গুণতে হয়েছিল।
সম্প্রতি, ডেপুটি হাই কমিশন অফিস কর্মকর্তাকে অর্থ সংগ্রহ করতে হয়েছিল সেই গরীব বাংলাদেশি নারীকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য। তিনি একদিন বেশি থাকেন এবং তাকে ২১ হাজার রুপি দিতে বলা হয়। তার কাছে সে পরিমাণ অর্থ ছিল না বলে কমিশনকে ফান্ড সংগ্রহ করতে হয়েছিল। কেন সেখানে ধর্মীয় ভিত্তিতে এমন বৈষম্য থাকবে? বাংলাদেশি কূটনৈতিক কর্মকর্তা জিজ্ঞাসা করেন।