চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন সালমার দ্বিতীয় স্বামী!
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:২৬:৪২,অপরাহ্ন ৩১ মার্চ ২০১৯ | সংবাদটি ৯৭৩১ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: সম্প্রতি মিডিয়ায় সংগীতশিল্পী সালমার দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে চলছে বেশ শোরগোল। আলোচনায় আসার মূল কারণ, সালমার স্বামী সানা উল্লাহ নূরী সাগরের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তার প্রথম স্ত্রীর মা দিলারা খানম।
সাগর যুক্তরাজ্যে অবস্থান করার কারণে এতদিন জানা যায়নি ঘটনার সত্যতা। শিল্পী সালমাও জানিয়েছেন, সাগর দেশে আসলে এ বিষয়ে কথা বলবে। ঘটনা সত্য না মিথ্যা, তা জানা যাবে তার মুখ থেকেই।
সানা উল্লাহ নূরী সাগরের বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রী কক্সবাজারের মেয়ে তাসনিয়া মুনিয়াত পুষ্মী’র অভিযোগগুলোর সত্যতা জানতে মাঠে নামে গণমাধ্যম। সাগরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। মিডিয়ার হাতে আসে বেশ কিছু জরুরি প্রমাণ।
২০১৪ সালের ৩ জুন বিয়ে করেন সানা উল্লাহ নূরী সাগর ও তাসনিয়া মুনিয়াত। প্রথম স্ত্রীর পক্ষ থেকে অভিযোগ আনা হয়, বিয়ের সময় পাঁচ লাখ টাকা, পাঁচ তোলা ওজনের স্বর্ণালংকার ও পঞ্চাশ হাজার টাকার পোশাক প্রদান করে কনেপক্ষ।
কিন্তু সানা উল্লাহ নূরী সাগর বলেন, ‘আমাদের বিয়েটা হয়েছে কাজী অফিসে। কিন্তু তারা অভিযোগ করেছেন বিয়েতে নাকি আমাকে পাঁচ লাখ টাকার আসবাবপত্র, পাঁচ তোলা স্বর্ণালংকার ও পঞ্চাশ হাজার টাকার পোশাক দিয়েছেন। এগুলো সব মিথ্যে। তাছাড়া আমরা প্রেম করে বিয়ে করেছি। সেখানে আমার সাবেক স্ত্রীর মা-বাবা কিংবা পরিবারের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। বিয়েতে উপস্থিত ছিল শুধুমাত্র আমার বন্ধুরা।’
প্রথম স্ত্রীর তাসনিয়া মুনিয়াতকে যৌতুকের জন্য মারধরের বিষয়টিকে মিথ্যে ও সাজানো নাটক উল্লেখ করে সাগর বলেন,
গত বছর সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখ আমি যুক্তরাজ্যে যাই। অভিযোগ করা হয়, ৫ তারিখ আমি আমার সাবেক স্ত্রীকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আমরা নাকি ছিলাম কক্সবাজারে। কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর আমরা দু’জনেই ছিলাম ঢাকাতে। ওইদিন আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে বিদায় নিতেই ব্যস্ত ছিলাম। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর সকালে, আমি ঢাকার একটি ব্যাংকে গিয়ে টাকা এনডোরস করেছি। ঢাকায় থেকে তাহলে কিভাবে আমি আমার সাবেক স্ত্রীকে কক্সবাজারে গিয়ে মারলাম। এটা কীভাবে সম্ভব।’
প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে, গোপনে সংগীতশিল্পী সালমাকে বিয়ে করেছেন সানা উল্লাহ নূরী সাগর। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাগর বলেন, ‘ডাকযোগে পাঠানো ডিভোর্স লেটার গ্রহণ করেছে তার মা। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে তার স্বাক্ষরও আছে। ডিভোর্সের তিনমাস পার হওয়ার পরই আমি সালমাকে বিয়ে করেছি। আমাকে ও আমার পরিবারকে হয়রানি করার জন্যই, তারা মামলা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন আইনজীবী। আইনের উপর আমার শ্রদ্ধা ও আস্থা আছে। আইনের সব নিয়ম মেনেই আমি সাবেক স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছি। কিন্তু আমার সাবেক স্ত্রী, শ্বাশুড়ি জলঘোলা করতে এত কিছু করছে। তারা বিষয়টি সমাধান করতে চাননি। তারা আমাকে হুমকি-ধামকিও দিয়েছে।
সবশেষে সানা উল্লাহ নূরী সাগর জানান, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এই মামলার কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হয়নি। আগামী ৭ জুলাই আসামিদের হাজিরার তারিখ নির্ধারণ করেছে আদালত। এছাড়াও প্রথম স্ত্রীর দায়ের করা মিথ্যা মামলার জবাব দিতে খুব শিগগিরই দেশে আসছেন তিনি। এসে আইনি ব্যবস্থা নেবেন সাগর।