৯১ ইউনাইটেড কিংডমের সাথে বনভোজনে এক দিন
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫৮:০৬,অপরাহ্ন ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | সংবাদটি ১৩২৩ বার পঠিত
৯১ ইউনাইটেড কিংডমের সাথে বনভোজনে এক দিন
আমীর খসরু:
গত ১০ সেপ্টেম্বর ৯১ ইউনাইটেড কিংডমের উদ্যোগে ইলফোর্ড ফেয়ারলপ ওয়াটার পার্কে আয়োজন করা হয়েছিল বনভোজনের। প্রলম্বিত গ্রীষ্মের দিন হিসাবে আবহাওয়া ছিল চমৎকার রৌদ্রোজ্জ্বল এবং তাপমাত্রাও ছিল সহনীয়। বনভোজনের জন্যে দুপুর বারোটা থেকেই সকল বন্ধুরা পার্কে সমবেত হতে থাকেন যা সকল বন্ধুদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত! মূলত লন্ডনে অবস্থানরত বন্ধুরাই এতে উপস্থিত ছিলেন।
শত ব্যস্ততার মাঝেও বন্ধুরা একে অন্যকে পেয়ে আনন্দে মেতে উঁঠেন। অল্প সময়ের মধ্যেই একে অপরের সহচর্যে উৎফুল্ল হয়ে উঠেন এবং আড্ডা ও আমোদে মেতে উঠেন পুরো দিন। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী প্রায় সকলেই মনের মাধুরী মিশিয়ে কিছু না কিছু রান্না করে নিয়ে আসেন। অন্যতম আকর্ষন ছিল বিএম রাফি ও সাইফুর রহমানের বানানো সিলেটের ঐতিহ্যবাহী তুষা সিন্নি ও সাথে বন রুটি। বাড়তি আকর্ষণ ছিল রেবেকা সুলতানার আঠালো চাল ও খেজুরের রসালো গুঁড়ের (মরিচা গুড়) ক্ষীর। মূল খাবার হিসাবে রাবেয়া জামান জ্যোতির রন্ধনকৃত কাচ্চি বিরিয়ানি ও হরেক রকমের নাস্তা। সুস্বাদু কাচ্চি বিরিয়ানি মূল খাবার হিসাবে সকলের রসনা পরিতৃপ্ত করে। পাচক (Chef) বন্ধু আমীর খসরু নিজ হাতে রান্না করে নিয়ে এসেছিলেন হরেক রকমের খাবার, তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল সুস্বাদু ফলের সালাদ, ছোলার ঝোল (Chickpeas curry) Humous, রুটি আরো কত কি!! সেই সাথে ছিল বন্ধু রীভার ঘরে তৈরী আমের লাচ্ছি ও চানাচুর। চা, কফি, ফ্রুট সালাদ, ফ্রুট কাস্টার্ড, কেক, টারকির হুমুস ও ব্রেড, সহ বাহারি সব খাবারের আনন্দ আয়োজন। খাবার শেষে ছিল বিনোদন ও খেলাধুলার আয়োজন ।Pick ticket & perform গেইম সকলকে ভীষন আনন্দ দেয় এবং এতে সকলের ভেতরে থাকা সৃজনশীলতা দেখানোর সুযোগ পান। যার যার টিকেটে উল্লেখিত কবিতা, গান, অভিনয় সহ বিভিন্ন সৃজনশীলতা সকলে প্রদর্শন করেন। এই খেলায় বিজয়ী ছিলেন বি এম রাফি ও তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ। এতে সকলকে মেডেল প্রদান করা হয়।
‘বালিশ-বাদ্য (Musical Pillow ) ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষন। চরম উত্তেজনাকর ‘বালিশ-বাদ্য’ খেলার বিজয়ী ছিলেন সাহারা খান এবং দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ পর্যায়ক্রমে ছিলেন, হাফিজ ওয়াহিদ সিরাজ, মাফরুহা খাতুন, এহতেশাম শরিফ। বিজয়ী সকলকে পরে মেডেল প্রদান করা হয়।
পিকনিকের আয়োজোনের সাথে যৌথভাবে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন সিলেটের বিখ্যাত ফাইভ স্টার হোটেল ‘গ্রান্ড সিলেট’ এর অন্যতম পরিচালক জনাব ফখরুদ্দিন রাজি। মিডিয়া ও প্রচারণায় সাহায্য করেন ইফতেখার রাশিদ বাবু।
বনভোজনে উপস্থিত বিএম রাফি, সানজিদা খাতুন, বদরুল আলম বাবুল, রেবেকা সুলতানা, রাবেয়া জামান জ্যোতি, মাফরুহা খাতুন, খাদিজা নাজ, হেনা রাশিদ, ওহাব আল আজাদ জুয়েল, রিভা, মুনশাদ চৌধুরী, শামীম ইকবাল, হাফেজ ওয়াহিদ সিরাজি, আমির খসরু, শেখ হালিম তপন, সাহারা খান, নাসিমা রহিম, রাবেয়া কামালি, সাইফুর রহমান সহ অনেকেই তাদের পরিবার ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এসেছিলেন যাঁদের উপস্থিতি, অংশগ্রহন ও পদচারনায় শেষ বিকেলের পড়ন্ত রোদে পরিনত হলো আরেকটি স্বর্নালী দিনে এবং স্মৃতির পাতায় সংরক্ষিত হলো জীবনের আরেকটি আনন্দদায়ক দিবস হিসাবে। উপস্থিত সকলেই এ ধরনের আয়োজন করার জন্য ৯১ ইউনাইটেড কিংডমের এডমিন প্যানেলের ভুয়সী প্রশংসা করেন।