মহিমান্বিত রমজান: আমাদের করনীয়
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:০৩:০২,অপরাহ্ন ০৪ মে ২০২০ | সংবাদটি ৪৫৭ বার পঠিত
।। আলেয়া খানম ।।
আমাদের থেকে এবারের মহিমান্বিত রমজানুল মুবারকের প্রথম দশক বিদায় নিতে যাচ্ছে। রমজানের প্রথম দশ দিন রহমতের। আল্লাহ তায়ালা এ দশকে প্রত্যেকের উপর অবারিত রহমত বর্ষণ করতে থাকেন। যার ফলে মুসলমান নরনারীর মন-মনন উজ্জ্বল তারকারাজির ন্যায় ঝলমল হয়ে অশ্লীলতা ও পাপাচার থেকে মুক্ত হয়। মহান প্রভূর সান্যিধ্যের দিকে এগিয়ে যায় মানবাত্মা। রহমতের চাদরে আবৃত হয়ে নিজের জীবন যৌবনকে পূতপবিত্র করে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
সহীহ হাদীসে প্রিয় নবী মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ ফরমান, রমজানের প্রথম দশক রহমতের, মধ্যখানের দশক মাগফিরাতের এবং শেষের দশক জাহান্নাম থেকে মুক্তির।
যখন রমজান আসে জান্নাতের দরজা সমূহ খুলে দেয়া হয়। জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়। আর মরদুদ শয়তানদেরকে শিকলাবদ্ধ করে রাখা হয়। অপর বর্ননায় আসে আসমানের দরজা সমূহ খুলে দেয়া হয়।
রমজান মুমিনের জন্য ঢাল স্বরূপ। শত্রুর মোকাবেলায় ঢাল যেভাবে গুলি, তীর ধনুক ইত্যাদির আক্রমণ ও অনিষ্ঠ হতে রক্ষা করে সিয়াম সাধনাও সেভাবে মুমিন মুসলমানকে অন্যায়, অবিচার, জুলুম, নির্যাতন ইত্যাদি পাপাচার থেকে রক্ষা করে।
হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,” রোজা আমার জন্য আর এর প্রতিদান আমি নিজে দান করব।”
যারা ঈমান ও ইহতেসাবের সাথে (সওয়াবের আশায়) রমজানের রোজা এবং কিয়ামুল লাইল ( তারাবীহ) আদায় করবে, আল্লাহ তায়ালা তাদের সমুদয় গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।
এদিকে চলমান বিশ্বের দিকে দিকে মুসলমানদের উপর নির্যাতন নিপীড়নের স্টীম রোলার চলছে। আর অপর দিকে দেশে দেশে ইসলামের বিজয় নিশান উড্ডীন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনার পূর্বাভাস মুসলিম উম্মাহকে আশান্বিত করছে।
রোজা ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধের প্রতীক। নিজেকে সংযম ও সংশোধনের মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ এক অমলিন সুন্দর সমাজ বিনির্মানে সিয়াম সাধনা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। গরিব দুঃখী অসহায় মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবের উপলব্ধি সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাস উপসর্গের মধ্যে লকডাউন এর ফলে আমাদেরকে কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। বিত্তবান হৃদয়বানরা যার যার অবস্থান থেকে সাধ্যমত সহায়তা করতে উদ্যোগী হওয়া এ সময়ে ঈমান ও মানবতার দাবি।
লেখক; এম.এ মাস্টার্স, এমসি কলেজে, সিলেট।