উপেক্ষিত গোলাপগঞ্জ স্টেডিয়াম, উপেক্ষিত গোলাপগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গন
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৫০:৩৮,অপরাহ্ন ২০ এপ্রিল ২০১৮ | সংবাদটি ৩১৯১ বার পঠিত
আনোয়ার শাহজাহান : একটানা ৩৪ বছর নিথর থাকতে থাকতে গোলাপগঞ্জ স্টেডিয়ামটি এখন বোঝা হয়ে গেছে গোলাপগঞ্জের জন্য। পর্যাপ্ত সংস্কার ও খেলাধুলা না থাকায় দিনদিন অবকাঠামোয় পড়ছে মরিচা। এভাবে চলতে থাকলে এ স্টেডিয়ামটি একদিন ঠাঁই নেবে ইতিহাসের পাতায়।
১৯৮২ সালে তৎকালিন এরশাদ সরকারের আমলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অপরূপ লীলাভূমি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের ধারাবহর গ্রামে জমি অধিগ্রহণ করে গোলাপগঞ্জ উপজেলার একমাত্র স্টেডিয়াম হিসেবে ঘোষনা করা হয়। কিন্তু কালের আবর্তনে মাঠটি এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এইভাবে বিলীন হতে থাকলে এক সময় মাঠটি অন্যের দখলে চলে যাবে এবং এর কোন অস্তিত্ব থাকবে না। তাই অভিলম্বে গোলাপগঞ্জ স্টেডিয়ামটি পূর্ণ সংস্কার করা প্রয়োজন।
গত ৬ ডিসেম্বর দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত সংবাদসূত্রে জানাযায়, বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। সে লক্ষ্যে ৪৯০টি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ১৩১টি স্টেডিয়াম নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ স্টেডিয়ামকে একটি পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়ামে রুপান্তর করার দাবীতে দেশে-বিদেশে ক্রীড়াপ্রেমীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ এবং লবিং চালিয়ে যেতে হবে। এছাড়া সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ও সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। কিছুদিন আগে গোলাপগঞ্জ স্টেডিয়ামের পাশে একটি টেকনিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য জমি ক্রয় করে দিয়েছে ঢাকাদক্ষিন উন্নয়ন সংস্থার ইউকে। এভাবে অন্যান্য সংগঠনগুলোও এগিয়ে আসলে গোলাপগঞ্জ স্টেডিয়ামটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কার সম্ভব।
এদিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলার একমাত্র স্টেডিয়ামটির পূর্ণ সংস্কার এবং এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়ামে রুপান্তর করার জন্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন সিকদারসহ সংশ্লিষ্ট সকলমহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন “আমাদের গোলাপগঞ্জ” এর নেতৃবৃন্দ।