মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই ‘মাশরাফি ভক্ত’
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৫৪:২৩,অপরাহ্ন ০৩ অক্টোবর ২০১৬ | সংবাদটি ১১৬৮ বার পঠিত
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ চলাকালে মাঠে ঢুকে পড়া সেই ‘মাশরাফি ভক্ত’ ও তার তিন বন্ধু অবশেষে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। রবিবার (০২ অক্টোবর) রাতে তাদের ছেড়ে দিয়েছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
শনিবার (০১ অক্টোবর) রাতে শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান তৃতীয় একদিনের ম্যাচ চলাকালে ওই ভক্ত মাঠে ঢুকে পড়ে এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে জড়িয়ে ধরে। তৎক্ষণাৎ মাঠে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীরা সেই ভক্তকে প্রথমে মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যান, পরে তিন বন্ধুসহ তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার রাত থেকে রবিবার সারাদিন মিরপুর মডেল থানায় আটক থাকার পর মুচলেকা দিয়ে শেষ পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন মাশরাফির ওই ভক্তরা।
মাশরাফির ওই ভক্তের নাম মেহেদী হাসান। তার ‘মাশরাফি ভক্ত’ ৩ বন্ধু হলেন— তানভীর আহমেদ মারুফ, আয়মান আসিফ রাফি ও আবীর হোসেন।
এরা সবাই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত এবং সাভারে বসবাস করেন। শনিবার রাতে থানায় নিয়ে আসার পর তাদের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কক্ষে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ভূঁইয়া মাহবুব হোসেন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পুরো ঘটনাটি কিভাবে ঘটলো এবং ঘটনাটি ঘটানোর কারণ জানার জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গত রাতে ও আজ (রবিবার) সকাল থেকে তাদেরকে দুই দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তেমন কোনো তথ্য জানা যায়নি।
ভূঁইয়া মাহবুব হোসেন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, আবেগের কারণেই মাশরাফিকে জড়িয়ে ধরতে মেহেদী মাঠে নেমেছিল। অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই। আমরাও তদন্ত করে অন্য কোনো উদ্দেশ্য খুঁজে পাইনি। তাই মুচলেকার বিনিময়ে চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ কখনও করবে না বলে জানিয়েছে তারা।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা যায়, ওই চারজনকে ঘটনাস্থলে নিয়ে পুরো ঘটনাটি কীভাবে ঘটলো সেটি জেনেছে পুলিশ। এ জন্য ওই চারজনকে নিয়ে পুরো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে যে তারা মাশরাফির ভক্ত। তবে সামনে যেহেতু ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলে বিপক্ষে খেলা রয়েছে তাই তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম হাসান মোল্লা দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যাপারটি তদারকি করেছেন।