সুনামগঞ্জে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে আ.লীগের দু’গ্রুপ
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৪১:২৬,অপরাহ্ন ২১ জানুয়ারি ২০১৭ | সংবাদটি ৮০৯ বার পঠিত
সুনামগঞ্জে জেলা পরিষদ নির্বাচনে পক্ষ-বিপক্ষ নেয়ার জের ধরে আ.লীগের বিবদমান দুটি পক্ষ অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এবং জেলা আ.লীগের সভাপতি মতিউর রহমানের পাল্টাপাল্টি কুশপুতুল দাহ করেছে।
মতিউর অনুসারীরা মান্নানের বিরুদ্ধে আর মান্নান অনুসারীরা মতিউরের বিরুদ্ধে তাদের নেতাকে ‘কটূক্তি’ করার অভিযোগ এই এই কর্মসূচি পালন করেন।
সদ্য সমাপ্ত সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী নূরুল হুদা মুকুটের পক্ষে মতিউর ও পরাজিত প্রার্থী ব্যারিস্টার ইমনের পক্ষে প্রতিমন্রী মান্নান অবস্থান নেন। এই পক্ষ-বিপক্ষ নেয়া নিয়ে নির্বাচন উত্তর সময়ে জেলার এই দুই শীর্ষ নেতা পরস্পরের বিরুদ্ধে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন।
গত ১০ জানুয়ারি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শান্তিগঞ্জে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে জেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ মতিউর রহমানকে উদ্দেশ্য করে প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, “একজন নেতা প্রতিনিয়ত আমার বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে কুৎসা রটাচ্ছে। সে এক উপ-নির্বাচনে পাশ করে এমপি হয়েছিল, সে মনে করেছে সে বিরাট কিছু হয়ে গেছে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সরকারের টাকা এনে সে নিজের নামে কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে, সরকারি ইট-বালু-পাথরের কন্টাক্টারি করে কালো টাকা বানিয়েছে। আমি আপনাদের পাশে আছি, মরার আগেরদিনও পাশে থাকবো। আমি দক্ষিণ সুনামগঞ্জের সন্তান। ভৈরব থেকে এসে কৃত্রিম নেতা সাজি নি।”
প্রতিন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর ১৬ জনুযারি বিকালে জেলা পরিষদের চেয়াম্যান মুকুটকে দেয়া নাগরিক সংবর্ধনায় জেলা আ,লীগের সভাপতি মতিউর রহমান মান্নানকে উদ্যেশ করে বলেন, “দল আজ দুইভাগে বিভক্ত। একদিকে ত্যাগী আর অন্যদিকে ভোগী। জেলা পরিষদ নির্বচনের মধ্যদিয়ে ভোগীদের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। এখন থেকে এদের আর ভোগ করতে দেয়া হবে না।”
মতিউর বলেন, “একাত্তরে আমরা যখন যুদ্ধের ময়দানে ছিলাম, মান্নান সাহেব তখন পাকিস্তানিদের হেফাজতে চাকরি করেছেন।”
তিনি আরো বলেন, “বিগত নির্বাচনে মান্নান সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জগন্নাথপুর উপজেলায় মরহুম আব্দুস সামাদ আজাদের ‘নাবলক’ ছেলে আজিজুস সামাদ ডনের কাছে ১০ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। পরে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। কীভাবে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন, তা কেবল এমএ মান্নান এবং তৎকালীন ডিসি ইয়ামিন চৌধুরী ছাড়া আর কেউ জানে না!”
দুই নেতার এই পাল্টাপাল্টি বাগযুদ্ধের পর গতকাল বিকালে শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নানের ও বৃ্হস্পতিবার বিকালে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা সদরের শান্তিগঞ্জ বাজারে এই দুই নেতার অনুসারীরা পাল্টাপাল্টি মান্নান ও মতিউরের কুশপুতুল দাহ করেন।