সিলেটে বাজি ধরে নদীতে লাফ দিয়ে নিখোঁজ শিক্ষার্থী!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২২:১৫,অপরাহ্ন ১৩ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৯৪১ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: স্লো-মোশনে ‘টিকটক ভিডিও’ বানানোর জন্য বাজি ধরে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আর দেখা মিলেনি সিলেটের দশম শেনী পড়ুয়া এক ছাত্রের। তার নাম আবদুস সামাদ। সে নগরীর বাগবাড়ির বাসিন্দা মৃত শামসুল হকের পুত্র। ঢাকা থেকে আসা ডুবুরি দল নিখোঁজ তরুণের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে আবদুস সামাদ (১৮) ও মিলন (১৮) নামে দুই বন্ধু ‘টিকটক ভিডিও’ করতে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক সংলগ্ন সুরমা নদীতে ঝাঁপ দেন। ঝাঁপ দেয়ার পর সাঁতরে মিলন তীরে ভিড়লেও আব্দুস সামাদের খোঁজ মিলেনি। তীরে ফিরে আসা অপর কিশোর মিলন এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের ভিডিও ধারণ করছিল আরেক বন্ধু অভি। এরা প্রত্যেকেই নগরীর আলাদা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
চিকিৎসাধীন মিলন ও তার বন্ধু অভি জানান, এদিন তারা তিনজনে বাগবাড়ি জামে মসজিদে আসরের নামাজ পড়ে সেতু থেকে স্লো মোশনে নদীতে পড়ার ভিডিও ধারণের জন্য বাজি ধরেন। অভি জানায়, দুই বন্ধু তার কাছে মোবাইল রেখে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এরমধ্যে মিলন সাঁতার কেটে তীরে আসতে পারলেও সামাদ নদীতে তলিয়ে যায়।
সামাদের বোন আমেনা বেগম বলেন, দুই বন্ধু মিলন ও অভির সঙ্গে নদীর পাড়ে যায় সামাদ। তখন বাজি ধরে শাহজালাল সেতু-৩ থেকে মিলন ও সামাদ নদীতে ঝাঁপ দেয়। মিলন সাঁতরে পাড়ে উঠলেও সামাদ উঠতে পারেনি।
জালালাবাদ থানার এসআই মহিউদ্দিন বলেন, মিলনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে সিলেট ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় এবং স্রোতের কারণে উদ্ধার অভিযান চালাতে পারেননি।
সিলেট ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ের স্টেশন কর্মকর্তা যীশু তালুকদার জানান, শুক্রবার আলোস্বল্পতা এবং প্রবল স্রোতের কারণে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। শনিবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে ঢাকা থেকে আসা চারজনের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। তিনি আরো জানান, কয় দিনের টানা বৃষ্টির কারণে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীতে এখন প্রবল স্রোত।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মো. জেদান আল মুসা জানান, নিখোঁজ সামাদকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।