দক্ষিণ সুরমায় বাঁশের তৈরী ‘উড়ন্ত সেতু’টি ভেঙে গেছে!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৪১:৪০,অপরাহ্ন ০৮ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৯৯২ বার পঠিত
ইমরান আহমদ:: সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার দুই ইউনিয়নবাসীর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম বড়ভাগা নদী। এ নদীর উপর নেই কোন সেতু বা ব্রীজ। আছে শুধূ বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরী একটি সেতু। যাকে কৌতুহল করে গ্রামের অনেকে বলেন দক্ষিণ সুরমার ‘উড়ন্ত সেতু’। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচল। অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড়ি দিতে হচ্ছে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা পড়ুয়া ছোট-বড় শিক্ষার্থীদের। বর্তমানে বাঁশের তৈরী সেতুটিও ভেঙে গেছে। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি পাকাকরণ করতে না পারলেও কমপক্ষে বাঁশ দিয়ে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করেদিতে স্থানীয় এমপিসহ জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার ও সিলাম ইউনিয়নের মধ্যখানে অবস্থিত বড়ভাগা নদী পারাপারের জন্য কোন সেতু না থাকায় বাঁশ দিয়ে ‘সেতু’ তৈরী করেন স্থানীয়রা। সেতু তৈরী হওয়ার পর স্থানীয় সৈয়দ কুতুব জালাল উচ্চবিদ্যালয় ও গাজীর পাড়া হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতো এবং সিলাম ইউনিয়নবাসী মোগলাবাজার আসতেও এ সেতু ব্যবহার করেন। কিন্তু গত কয়েকদিন পূর্বে সেতুটির কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন তারা। ফলে যে কোন সময় বিপদ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য শিক্ষার্থীদের চলাচলে অসুবিধার কথা বিবেচনা করে এখানে সেতু নির্মাণ করার দাবী জানান এলাকাবাসী।

এভাবেই ভেঙে হেলে পড়েছে ‘উড়ন্ত সেতু’টি
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলেছে আলোচনা।
শামছুল ইসলাম শরীফ নামে একজন স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী কয়েস ও সেতুটির ছবি পোস্ট দিয়ে লিখেন- বাচ্ছাদেরকে নিয়ে খুব টেনশনে আছি। যে ছবিটি আপনারা দেখছেন এটা আমাদের সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বড়ভাগা নদির উপর নির্মিত “উড়ন্ত ” সেতু। এই সেতুটি মোগলাবাজার ইউনিয়ন ও সিলাম ইউনিয়নের ভালোবাসার যোগসূত্র। এই সেতুর উপর দিয়ে মোগলাবাজার ও জালালপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত।
বিশেষ করে সৈয়দ কুতুব জালাল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রচুর ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করে।এছাড়া গাজীর পাড়া হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসায় অনেক ছাত্রের যাতায়াত। এবং উড়ন্ত সেতুটির দুই পাশে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সিলেট তিন আসনের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এম পি সাহেবের অতি আস্তাভাজন দুই জন মেম্বার আছেন তারা ইচ্ছা করলে মাননীয় এম পি সাহেবের মাধ্যমে এই কাজটি করাইতে পারতেন।
দুইবছর আগে আমাদের ওয়ার্ডের মেম্বার আইয়ূব হোসাইন ভাইয়ের কাছে শুনলাম বিশ লাখ টাকায় সুইচগেট নির্মাণ হচ্ছে, ভাবলাম নাই মামুর চেয়ে কানা মামুই ভালো। এখন সেই বিশ লাখ টাকা হয়তো বড়ভাগার পানিতে ভাসিয়া গিয়া কুশিয়ারায় পড়িয়া গিয়াছে। এখন আমাদের প্রিয় উড়ন্ত সেতুটি ভেঙ্গে গেছে। সবচেয়ে বিপদ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের । বাশের সেতুটি মেরামত করতে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা লাগবে। দেখবেন কি একটু জনপ্রতিনিধিগণ? রায়বান মসজিদ থেকে বৈরাগী বাজার রাস্তার কাজ তো কোন কন্টাক্টার নিবেনা………?
আব্দুল কাদির নামে একজন লিখেন- এই ব্রীজটি দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
হারুন রশিদ নামে একজন লিখেন- ভাই ব্রীজের কাজতো প্রায় শেষ, এখন বাকি উপরে শুধু ছিমেনট আর বালু। তাই না।
আমর মনে হয় আপনি ক্ষমতা ধর লোকেদের উদ্দেশ্যে কথা গুলো না লিখে জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে লিখলে ভালো হতো।
একটি কথা মনে রাখবেন ঐখানে কোন ব্রিজ বা সুইচ গেটের জন্য কখনো কোন টাকা বরাদ্দ হয় নি। তাই কোন দালাল বাটপারের কথা না শুনে এলাকার সবাইকে এক জোট হয়ে শান্তিপূর্ণ একটি আন্দোলনের ডাক দিন ইনশাআল্লাহ দেখবেন কাজ হয়ে যাবে।