করোনায় বাংলাদেশের পাশে থাকার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:০২:২৯,অপরাহ্ন ৩০ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ২৫৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সহযোগিতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার।
এ সময় তিনি সময়োপযোগী আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলারের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি ও সহযোগিতা নিয়ে ফোনালাপ হয়। এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ফোনালাপে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজের উপর কভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা জোরদার, স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ করে স্বাস্থ্য পরিষেবা, সক্ষমতা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য সমর্থন বাড়ানোর অনুরোধ করেন।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস আঘাত হেনেছে। বিশ্বব্যাপী থমকে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতি। যা বিশ্বের সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ মহামারির কারণে সব থেকে বড় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে এশিয়ার উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর। এ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্প আয়ের মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
এ সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
প্রকল্প সহায়তা, খাদ্য সহায়তা এবং পণ্য সহায়তা হিসাবে এ যাবত ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার জন্য এবং কোভিড -১৯ প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়ামূলক কর্মসূচিতে ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরুরি সহায়তার জন্যও ধন্যবাদ জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষ ও অর্থনীতির জন্য ১১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যা জিডিপি’র ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। এই প্যাকেজের অর্থ ব্যয়ে জনসাধারণের ব্যয় বৃদ্ধি, সামাজিক সুরক্ষা জালকে প্রশস্ত করা ও আর্থিক সরবরাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে জোর দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, পরিষেবা খাত ও কুটির শিল্পগুলোকে সুরক্ষার জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে কার্যনির্বাহী মূলধনের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের গৃহিত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সময়োপযোগী আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এই সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবেন বলেও আশ্বস্ত করেন রবার্ট আর্ল মিলার।
এ সময় আ হ ম মোস্তফা কামাল সামাজিক সুরক্ষা নেট প্রোগ্রাম প্রশস্তকরণে সমর্থন দেয়া, উন্নয়নের উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে সক্ষম কৃষি যান্ত্রিকীকরণের অর্থায়নে সহায়তা; স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দুর্যোগ ও মানবিক সহায়তা কর্মসূচির জন্য স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তারও অনুরোধ করেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্বাস্থ্য ও কৃষিখাতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত মিলার ইউএস এক্সিম ব্যাংকের নতুন পণ্য সম্পর্কে অবহিত করেন। এক বছরের জন্য প্রদত্ত এ সুবিধার আওতায় সরাসরি ঋণ বা ঋণ গ্যারান্টি, সাপ্লাই চেইন অর্থায়ন গ্যারান্টি, কার্যনির্বাহী মূলধন গ্যারান্টি ও প্রি ডেলিভারি/প্রি এক্সপোর্ট অর্থায়ন সুবিধা রয়েছে বলে জানান।