ভালবাসা দিবসে নিজ নিজ ‘মা’র পা ধুঁয়ে দিলো শিক্ষার্থীরা!
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৩৪:০১,অপরাহ্ন ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৪৫৮ বার পঠিত
টাঙ্গাইল থেকে সংবাদদাতা:: বিশ্ব ভালবাসা দিবসে মায়েদের প্রতি এক ব্যতিক্রমী ভালবাসা দেখিয়েছে টাঙ্গাইলের হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীরা।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ভালবাসা দিবসে স্কুলের পক্ষ থেকে ‘মায়েদের পা ধুঁয়ে’ দেয়ার আযোজন করা হয়। এতে সকল শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ মা’র পা ধুঁয়ে দেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শহরের এসপি পার্কে সন্তানদের কাছে এমন ভালবাসা ও শ্রদ্ধা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়েছেন মায়েরা ও উপস্থিত সকলে। আর আনন্দিতও হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিন পহেলা ফাল্গুন থাকায় অনেক মায়েরাও প্রতিষ্ঠানে এসেছিলেন সাজসোজ করে।
লামিয়া আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমি মা ও বাবাকে খুব ভালবাসি। মাকে সব সময় পাশে পাই। আজ আমি মায়ের পা ধুঁয়ে দিয়েছি। আমার খুব ভালো লাগছে।’
এ আয়োজনে অংশগ্রহণকারী হামিদা আক্তার, রুমা আক্তারসহ একাধিক অভিভাবক জানান, এ রকম অনুষ্ঠান একটি সন্তানের মানসিক পরিবর্তন ও গঠনে সঠিক ভূমিকা রাখবে এবং বড় হয়ে তারা জানবে ভালোবাসা দিবস শুধু বন্ধু-বান্ধব, প্রেমিক-প্রেমিকার জন্যই নয়। এই দিনে বাবা-মাকে সময় দিতে হবে। তাদের প্রতি ভালোবাসা নিবেদন করতে হবে। আর এই অনুষ্ঠান থেকে নতুন প্রজন্মের শিশুরা তাদের পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য ও শ্রদ্ধা করতে শিখবে।’
হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুলের উপদেষ্টা ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ বলেন, ‘এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে। বৃদ্ধ বয়সে পিতা-মাতাকে কেউ দূরে রাখবে না। সকলেই কাছে রাখবে ও পিতা-মাতাকে খুব সম্মান করবে।’
উদ্যোক্তা হাতেখড়ি প্রি-প্রাইমারি স্কুলের চেয়ারম্যান নওশাদ রানা সানভী বলেন, ‘বর্তমান সময়ে দেখা যায় সন্তানদের অবহেলায় বৃদ্ধ বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হয়। যা খুবই বেদনার। আমরা মনে করি ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসা পাওয়ার প্রথম ভাগিদার বাবা-মা। যদিও তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের কোনো বিশেষ দিনের প্রয়োজন হয় না। তারপরও বিশেষ এই দিনে শিশুদের মনে বাবা-মায়ের প্রতি অটুট ভালোবাসা এনে দিতেই এবং নৈতিক শিক্ষায় শিশুদের গড়ে তুলতেই আমাদের এই আয়োজন।’
অনুষ্ঠানে শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশ নেয়।