শিক্ষার্থীদের পর্ণ দেখানো প্রধান শিক্ষক কারাগারে
প্রকাশিত হয়েছে : ১:২৬:৩১,অপরাহ্ন ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৪৫০ বার পঠিত
সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদাতা:: সুনামগঞ্জে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের অশ্লিল ভিডিও দেখানোর অভিযোগে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনকে আটকের পর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার মাইজবাড়ি এলাকা থেকে আটক করে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নারী শিশু ট্রাইব্যুনাল আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে সদর থানায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন যৌন হয়রানির শিকার এক ছাত্রীর বাবা।
আটক গিয়াস উদ্দিনের বাড়ি শহরের বিলপাড় এলাকায়। গিয়াস উদ্দিনকে বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, মাইবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির চার ছাত্রীকে কিছু দিন ধরে নানা অজুহাতে বিদ্যালয়ের ছাদে নিয়ে যেতেন প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন। সেখানে তাদের মোবাইলে পর্ন ছবি দেখাতেন তিনি। পর্ণ ছবি না দেখালে পরীক্ষায় ফেল ও নানা ভয়ভীতি দেখাতেন এই শিক্ষক।
মঙ্গলবারও চার ছাত্রীর মধ্যে দুই ছাত্রীকে ছাদে নিয়ে পর্ন দেখানোর চেষ্ঠা করেন। অন্য দুই ছাত্রী বিষয়টি তাদের অভিভাবকদের জানান।
ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয় ঘেরাও করে শিক্ষককে মারধর করেন। পরে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেন।
ছাত্রীদের অভিভাবকরা জানান, বেশ কিছু দিন ধরেই শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন নানা অজুহাতে ছাত্রীদের ছাদে নিয়ে ছাত্রীদের খারাপ ছবি দেখাতো। হাত ধরে টানাটানি করতো। ছবি না দেখলে নানা ভাবে হয়রানি করতো। মঙ্গলবার একই কাজ করলে এলাকাবাসীকে নিয়ে আমরা বিদ্যালয় ঘেরাও করি। এই বখাটে শিক্ষককে পুলিশে সোপর্দ করি।
সদর থানার ওসি সহিদুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে গিয়াস উদ্দিন নামে এক শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। বুধবার এই শিক্ষককে আদালতে হাজির করলে তাকে জেল হাজতে পাঠান বিজ্ঞ বিচারক।
সিলেট বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উপপরিচালক একেএম সাফায়েত আলম বলেন, প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে।