অমিত সাহার পর আটক আবরারের রুমমেট মিজান!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৪১:২৯,অপরাহ্ন ১০ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৭৮৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহাকে আটকের পর আবরারের রুমমেট মিজানকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুম থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। আটক মিজান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটার রিসোর্চ অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সাড়ে মিজানকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে শেরে বাংলা হলের মেসবয় প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল কাদের জানান, আবরারের মরদেহ উদ্ধারের পর ১০১১ নম্বর রুমটা একদিন বন্ধ ছিল। এরপর আবরারের বাকি রুমমেটরা সেখানে থাকতে শুরু করেন। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডিবি পুলিশ এসে ওই রুমের মিজানকে তুলে নিয়ে গেছে।
তবে ঢাকা মেটোপলিটন পুলিশের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমানকে ফোন দেয়া হলে রিসিভ করেননি তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সবুজবাগ থেকে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অমিতকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরে যদি আবরার হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তাহলে এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে বলে জানা গেছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, বুয়েটের শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থী, সিসিটিভি ফুটেজ ও আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে।
জানা গেছে, ফাহাদকে জেরা ও পেটানোর সময় হলের ওই কক্ষে অমিত সাহা, মুজতাবা রাফিদ, ইফতি মোশাররফ ওরফে সকালসহ তৃতীয় বর্ষের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই কক্ষে এসে দ্বিতীয় দফায় ফাহাদকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়নসহ কয়েকজন। তারা সবাই মেহেদী হাসান রাসেলের অনুসারী।
আর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আবরার হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ১০ আসামির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী।