নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বিদ্যালয়টি
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:১১:০০,অপরাহ্ন ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৩৮৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: পদ্মায় পানি বাড়ছে। বর্তমানে বিপদ সীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে সেই সঙ্গে রয়েছে প্রচণ্ড স্রোত। এতে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন রাজবাড়ীর নদী পারের মানুষ। ইতোমধ্যে জেলার মিজানপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
বিলীন হয়েছে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন চড় ধুঞ্চি, গোদার বাজার ও অন্তার মোড় এলাকার কয়েকটি স্থান। এছাড়াও হুমকির মুখে পড়েছে সদর উপজেলার তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনা ও বেড়িবাঁধ।
এ দিকে প্রথম পর্যায়ে মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার হাত থেকে রক্ষার জন্য তিন লাখ টাকা ব্যয়ে জরুরি ভিত্তিতে ৬ হাজার বস্তা বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়। তবে ভাঙন ঠেকাতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। স্কুলের পেছনের অংশ নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পর আবারও ত্রিশ লাখ টাকার বস্তা ফেলার কাজ শুরু করা হয়। যেসব স্থানে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দেবে সেসব স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা ফেলে রক্ষা করা হবে বলে জানায় পাউবো কতৃপক্ষ।
অপরদিকে স্থানীয়রা জানান, নদী ভাঙনের কারণে আতঙ্কে রয়েছেন তারা। প্রতি বছর নদী ভাঙনের কারণে ক্ষতির মধ্যে পড়ছেন তারা। ভাঙনের কারণে নদী পাড়ের স্কুলগুলো হুমকির মুখে পড়েছে।
মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, স্কুলে দেড়শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। গত দুই বছরে এই স্কুলের পেছনের অংশে নদী ভাঙনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছিল। গত সপ্তাহ থেকে এই স্কুলের পেছনের অংশ নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, হঠাৎ করে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি ও প্রচণ্ড স্রোতের কারণে মহাদেবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ চারটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যে কারণে ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, ভাঙনের কারণে স্কুলটির পেছনের অংশ ধসে যায়। বর্তমানে ওই স্থানে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৬ হাজার বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা ফেলা হয়। তবে যেসব স্থানে ভাঙন রয়েছে সেসব স্থানে জরুরি ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা ফেলা হচ্ছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে আরও বেশি বস্তা ফেলার কাজও অব্যাহত রাখা হবে।