সামনে যেই পড়বে তাকেই হারাতে হবে!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫১:০৯,অপরাহ্ন ২৬ জুন ২০১৯ | সংবাদটি ৪৫৬ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: আফগানিস্তানকে হারিয়ে উঠে বাংলাদেশ এখন পাখির চোখ করেছে ভারতকে। ২ জুলাই এই ম্যাচটা জিততেই হবে। তা না হলে বিশ্বকাপে স্বপ্নের দৌড় শেষ হয়ে যাবে মাশরাফিদের। বিশ্বকাপে এখন প্রত্যেকটি ম্যাচকে নিজেদের শেষ ম্যাচ বলে মনে করছেন ক্রিকেটাররা।
কোন ম্যাচ সহজ আর কঠিন এগুলো ভাবার এখন সময় নেই। সামনে যেই পড়বে তাকেই হারাতে হবে। অধিনায়ক মাশরাফির কথাতেও সেই সুর, ‘সেমিফাইনালে যেতে হলে জিততে হবে। আমাদের কাছে এই ম্যাচ তাই সেমি-ফাইনাল বা ফাইনাল, বা সবকিছু বলতে পারেন। ডু অর ডাই। শক্তিতে আমরা কতটা পিছিয়ে, ওরা কতটা ফেভারিট, এসব ভাবার সুযোগ নেই। টিকতে হলে জিততে হবে, জেতার পথ বের করতে হবে।’
সেই রাস্তা বের করার দায়িত্ব কম্পিউটার অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন। তিনি ভারতেরই মানুষ। চন্দ্রশেখরন বলছেন, ‘ভারতকে হারানো অসম্ভব নয়, অবশ্যই পথ আছে। যদিও বার্মিংহামে ওদেরকে হারানো সহজ হবে না। তবে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন যদি আমরা ঠিকঠাক করতে পারি, সবাই সেরাটা দিতে পারে, অবশ্যই সম্ভব।’
বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ খেলোয়ড়ী জীবনে ছিল ভয়ডরহীন। তিনি ভারত ম্যাচ নিয়ে বলছেন, ‘ভয় পেয়ে লাভ আছে? খেলতে হবে, জিততে হবে। হিসাব সোজা। মাঠে নেমে আমরা সমানে সমান লড়াই করব। তার পর যা হয়।’
ভারতকে হারালেই যে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে চলে যাবে বিষয়টা সেরকম না। সৌম্য সরকার তাই বলছেন, ‘সেমিফাইনালে খেলতেই হবে ধরে নিলে কাজটা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। আমরা একটি করে ম্যাচ ধরে এগোচ্ছি। পরের ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে, চাওয়া থাকবে ভালো খেলে ম্যাচটা জেতার। এরপর তাকাব পরের ম্যাচে। সেমিতে খেলতে পারব নাকি পারব না, সেটি পরে। আমাদের পরের ম্যাচটি জিততে হবে। তার পর দেখব সুযোগ আছে কিনা।’