‘আরিফর যে মান মর্যাদা আছে ইতা ক’জন মন্ত্রী-এমপির আছে’
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১৬:০৫,অপরাহ্ন ২৯ মে ২০১৯ | সংবাদটি ৭০৬ বার পঠিত
ইমরান আহমদ:: মন্ত্রী আর প্রতিমন্ত্রীর মান দিয়া আমরা কিতা করতাম, আমরা যারে (আরিফুল হক চৌধুরী) সিটি করপোরেশনর গদিত বয়াইছি তানরে রাইতে নিশায়, যেবালা যেতার লাগি ডাকি পাই। সিলটর মানসর গেছে তান যে মান আছে ইতা ক’জন মন্ত্রী এমপির আছে। প্রতিমন্ত্রীর মান ফাইলানা করি কিতা অইলো। আমার মনে অর না পাওয়ায় ভালা অইছি, ইলা আমরা তানরে পাইলামনা অনে।
মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক আদেশে রাজশাহী ও খুলনা সিটি মেয়রকে প্রতিমন্ত্রী এবং ঢাকা উত্তর সিটি মেয়রকে মন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অনুমতি প্রদান করা হয়। কিন্তু সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রকে তা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়।
এতে শুধু আরিফকে নয় বরং সিলেটবাসীকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে মনে করছেন সিলেটবাসী।
এনিয়ে সিলেটবাসী কিছুটা ব্যথিত হলেও মেয়র আরিফের প্রতি জনতার ভালবাসা আরো দৃঢ় হয়েছে। কয়েকজন নাগরিকের সাথে কথা বলে তাদের কাছ থেকে ভালবাসার এমন অভিমত পাওয়া যায়।
নগরীর উপশহরের বাসিন্দা ষাটোর্ধ নুরুল হক অট্টোহাসি দিয়ে বলেন, ‘মন্ত্রী আর প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়া আরিফে কিতা করতা, নগরীর নাগরিক হকলর কাছে তান যে মান মর্যাদা আছে, আমার মনে অয় দেশর মন্ত্রীরও ইলা নাই। মর্যাদা পাইলেউ কিতা আর না পাইলেউ কিতা। তবে সরকারে ইকটা ঠিক করছইন না। আরিফ মিয়া বিএনপি করলা করি কিতা তান সুযোগ সুবিধা পাইতা নানি। ইগু কিন্তু বেইনসাফ। বিএনপির আমলে মেয়র আছলা তানতানর (আওয়ামীলীগ) কামরান সাব। তানরেতো বঞ্চিত করা অয়নি’।
শুধু নুরুল হক নয়, নগরীর অনেক নাগরিকের অভিমত এমনই।
জানাযায়, রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও খুসিক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেককে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা প্রদান করা হয়। তবে সমপর্যায়ের হলেও সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে এ মর্যাদা প্রদান করা হয় নি।
একই আদেশে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামকে মন্ত্রীর মর্যাদা দেয়া হয়।
মন্ত্রীর মর্যাদা পাওয়া ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল, রাসিক মেয়র লিটন ও খুসিক মেয়র খালেক তিন জনই আওয়ামী লীগের নেতা। তারা তিনজনই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কা নিয়ে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে সিসিক মেয়র আরিফুল হোক চৌধুরী বিএনপি নেতা। তিনি বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয় লাভ করেন।
এর আগে ২০০১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। মেয়র থাকাকালে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেতেন তিনি। সেসময় তাঁর গাড়িতে জাতীয় পতাকাও শোভা পেত। তবে ২০১৩ সালে বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর আর প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পান নি তিনি।
বিষয়টি নিয়ে জানতে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য না করে বলেন, এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। তারা যা ভালো মনে করেছেন সেটাই করেছেন। এতে আমার কিছুই বলার নেই।