বনানীর কার্যালয় ছাড়ছেন এরশাদ, খুঁজছেন কবরের জায়গা
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:২৩:১৮,অপরাহ্ন ১৬ মে ২০১৯ | সংবাদটি ২৮৪০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ বনানীস্থ তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয় ছেড়ে দিচ্ছেন। ভাড়ায় নেওয়া এ কার্যালয়টি খালি করে দিতে এরশাদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের নোটিশ পাঠিয়েছেন বাড়ির মালিক। ঈদের পরেই দীর্ঘদিন যাবত চলে আসা এ কার্যালয়টি ফাঁকা করে দেয়া হবে। আর এর মাধ্যমে এইচএম এরশাদের বনানী কার্যালয়ের সমাপ্তি হবে।
এছাড়া নিজের জন্য কবরের জায়গা খুঁজছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা এইচএম এরশাদ। অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে যাওয়া এরশাদের পরামর্শে তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন গত কয়েকদিনে রাজধানী ও আশপাশে কবরের জন্য একাধিক সম্ভাব্য স্থান সরেজমিনে দেখেছেন।
দলীয় কার্যালয় ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে এরশাদের ব্যক্তিগত সচিব ও জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) খালেদ আখতার জানান, এরশাদ সাহেব অফিসটি ছেড়ে দিতে চাচ্ছেন। তাছাড়া বাড়ির মালিকের সঙ্গেও চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেই কারণে অফিসটি ছাড়ার প্রস্তুতি চলছে। বনানীর এ কার্যালয়টিতে এরশাদ নিয়মিত বসতেন। মূলত; এখান থেকেই জাপার রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা হতো। এরশাদের ব্যক্তিগত সচিব, প্রেস সচিব, ডেপুটি প্রেস সচিব, কোষাধ্যক্ষসহ ১০ জনের একটি টীম প্রতিনিয়ত কাজ করতো এ কার্যালয়ে বসে।
এইচএম এরশাদ এই কার্যালয়ে বসেই বিদেশী কুটনীতিকদের সাক্ষাত দিতেন এবং বিদেশী প্রতিনিধিরাও এখানে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন। মাঝে এরশাদের দ্বিতীয় স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক (বর্তমানে তালাকপ্রাপ্তা) নিয়মিত বসতেন বনানীর এই কার্যাালয়ে। এরশাদের পাশাপাশি সে সময় বিদিশাও সারাদেশের জাপার কার্যক্রম দেখভাল করতেন এখানে বসে। সে সময় বনানীর কার্যালয়টি অনেক আলোচনা-সমালোচনার জায়গা ছিল। বিদিশা পরবর্তীতে জাপার সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বনানীতেই মানচিত্র নামের আরেকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান করে সেখান থেকে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন।
অন্যদিকে কবরের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শনে যাওয়া একাধিকজন জানান, এরশাদের ইচ্ছা মৃত্যুর পর যেন ঢাকায় তাকে সমাহিত করা হয়। সেক্ষেত্রে কবরের কাছে যেন মসজিদ, মাদ্রাসা থাকে। এরকম উপযুক্ত স্থান পাওয়া না গেলে রংপুরে সমাহিত করার কথা জানিয়ে রেখেছেন তিনি। এরশাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ইতোমধ্যে বনানী কবরস্থানে স্থায়ী জায়গা কেনার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিকল্প হিসেবে রাজধানীর বারিধারায় আমেরিকান সেন্টারের কয়েকশ গজ উত্তরে একটি মাদ্রাসা ও এতিম খানার কাছে জায়গা দেখা হয়েছে। এছাড়া পূর্বাচলের কাছেও একটি জায়গা দেখে এসেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কোনোটিই এখনও চূড়ান্ত হয়নি।