`চালের বাজার অস্থিতিশীল করলে কঠোর ব্যবস্থা`
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৪৯:৪১,অপরাহ্ন ২৭ জুন ২০২০ | সংবাদটি ৪৭৫ বার পঠিত
নওগাঁ থেকে সংবাদদাতা:: চালের বাজার অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করলে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে বলে ব্যবসায়ীদের হুশিয়ার করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
প্রয়োজনে সরকারীভাবেই চাল আমদানি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২৭ জুন) নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলা কৃষি ও বন বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত গাছের চারা এবং সবজির বীজসহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে মিন্টো রোডের মন্ত্রীর সরকারী বাসভবন হতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। পর্যাপ্ত ধান দেশে মজুদ আছে। বাজারেও পর্যাপ্ত চালের সরবরাহ আছে। এখন চালের দাম বাড়ার কোন যৌক্তিক কারণ নেই। তাই যারা বাজার অস্থিতিশীলের চেষ্টা করছেন তারা সতর্ক হয়ে যান। বাজার অস্থিতিশীলের চেষ্টা করলে সরকার বসে থাকবে না।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত পড়ে না থাকে। প্রতি ইঞ্চি জমি যেন চাষাবাদ করা হয়। প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলাতে হবে। সেই আলোকেই এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গাছের চারা ও সবজির বীজসহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাছের চারা, সবজির বীজ ও অন্যান্য উপকরণ কৃষকেরা গ্রহণ করে। মন্ত্রী বলেন, একটি গাছ নিধন করা আর একজন মানুষ হত্যা করা প্রায় সমান, যেহেতু গাছের মাধ্যমে আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি। কোন গাছ যেন কাটা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসনসহ উপস্থিত সকলকে নির্দেশ দেন।
চালকল মালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, এই করোনাকালীন সময়ে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসুন। আপনারা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ চাল সরকারী গুদামে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দিবেন। এখন ভরা মৌসুম; এই সময়ে চালের দাম বৃদ্ধি পাবার কোন কারণ নেই। সাবধান করে দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন না। ইতোমধ্যেই সরকার চাল আমদানি করার চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে। এই করোনাকালীন সময়ে অপপ্রচেষ্টার মাধ্যমে যদি চালের মূল্য বাড়ানো হয় তাহলে সরকারীভাবেই চাল আমদানি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চালকল মালিকদের চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং সরকারী গুদামে চাল দেবার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাজার অস্থিতিশীল হলে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে।
অনুষ্ঠানে পোরশা উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পোরশা উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।