‘নেত্রীর মুক্তির জোড়ালো আন্দোলন গড়ে না তোলা লজ্জার’
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৭:৫৬,অপরাহ্ন ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৩৬১ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য যে ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন, আমরা সেই আন্দোলন গড়ে তুলতে পারিনি, এটা আমাদের জন্য লজ্জার’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২০ দলীয় জোট আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, যে প্রক্রিয়ায়, যেভাবে খালেদা জিয়া মুক্ত হতে পারে সে প্রক্রিয়া ২০ দলীয় জোট অতি শিগগিরই গ্রহণ করবে। ২০ দলীয় জোট খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এককভাবে কর্মসূচি ঘোষণা দেবে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে, খুন হয়েছে অনেক নেতা-কর্মী, এলাকা ছাড়া হয়েছে তবু কেউ দল ত্যাগ করেননি, আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াননি। বাংলাদেশের মানুষ কখন জেগে ওঠে বোঝা মুশকিল, অধিকারের জন্য কাউকে ছাড় দেয় না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র হয় না। এ দেশে এখন আর নির্বাচন নেই, গণতন্ত্র নেই। তাই গণতন্ত্রের জন্য, এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রয়োজন। সে মুক্তি কখন কীভাবে ঘটবে তা হয়তো এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে সেই মুক্তি অতি শিগগিরই হবে।
২০ দলের এ নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন নির্বাচন বিমুখ। মানুষ এখন আর ভোট দিতে যায় না। জনগণের এখন আর ভোটে আস্থা নেই, এই সরকার আস্থার জায়গাটা নষ্ট করে ফেলেছে।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বিচার বিভাগের ওপর দেশের মানুষের এখন আর আস্থা নেই। আমরা দেখেছি যে বিচারক লোয়ার কোর্টে খালেদা জিয়ার সাজা দিয়েছে সেই বিচারককে এখন হাইকোর্টের বিচারক বানানো হয়েছে।
অন্যদিকে আমরা দেখেছি যে বিচারক এ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, এ সরকারের অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, সে বিচারককে পদত্যাগ করিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে।
এ সময় তিনি বলেন ,খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির মনজুরুল ইসলাম ভুইঁয়া, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জাপার মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা লুৎফুর রহমান, এনপিপির ফরহাহাদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ।