সুনামগঞ্জে অভ্যর্থনা জানাতে আ’লীগের দু’গ্রুপের হাতাহাতি!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৩২:১২,অপরাহ্ন ১০ নভেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৫৮৩ বার পঠিত
শামসুল কাদির মিছবাহ, সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে বিবদমান দুটি গ্রুপে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভামঞ্চের বাইরে সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় সমর্থিত একটি গ্রুপ এবং মেয়র মোশাররফ মিয়া ও অনুপ্রবেশকারী বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান তালুকদারের সমর্থিত ছাত্রলীগ-যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়ে দু’গ্রুপের নেতাকর্মীরা হাতাহাতিতে জড়ায়। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পরে বেলা ২ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত পূর্ব নির্ধারিত বর্ধিত সভা কলেজ রোডস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আছাব উদ্দিন সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মতিউর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবীর ইমন,জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল কমির শামীম, অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম, অ্যাডভোকেট অবণী মোহন দাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অভিরাম তালুকদার, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হাসমত খোকন ও দপ্তর সম্পাদক বিকাশ রায়ের যৌথ পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলতাব উদ্দিন, বর্তমান সহসভাপতি সোহেল আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র মোশাররফ মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক লুৎফুর রহমান এওর, ছাত্রলীগ দিরাই ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আসাদ উল্লাহসহ জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা সভাপতি বলেন,‘ নবীন-প্রবীণদের সমন্বয়ে এবং দলের দুর্দিনে যারা কাজ করেছেন, দলে থেকেও যারা কাজ করার সুযোগ পাননি সকলের সমন্বয়ে মিলিতভাবে একটি পরিচ্ছন্ন কমিটি গঠন করতে চাই,এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
ব্যারিস্টার ইমন তাঁর বক্তব্যে বলেন,‘ বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দল থেকে সুবিধা নিতে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের স্থান আওয়ামী লীগে হবে না। এদেরকে বাদ দিয়েই আওয়ামী লীগ করতে হবে। আওয়ামী লীগ কোন একক ব্যক্তিকেন্দ্রিক হতে পারে না। এদের কারণে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন নষ্ট হতে দেয়া যাবে না।